Barak UpdatesHappeningsBreaking News
কবি করুণা রঞ্জনের জন্মদিন শিলচরে পালন নিখিল বঙ্গের
ওয়ে টু বরাক, ৩ নভেম্বর : কবি করুণা রঞ্জন ভট্টাচার্যের ৯৪তম জন্মদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের শিলচর শাখা। বৃহস্পতিবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে করুণা রঞ্জন অনুশীলন সংস্হার কর্মকর্তারা যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে দেন।
এ দিকে অনুষ্ঠানে অতন্দ্র গোষ্ঠীর অন্যতম কবি উদয়ন ঘোষ কলকাতা থেকে অনলাইনে বক্তব্য রাখেন। কয়েক বছর আগে কত কষ্ট করে ম্যাগাজিন করা হতো, সেই সময় সব দিক দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন কবি করুণা রঞ্জন।এছাড়া তিনি সেই অতন্দ্র যুগের সময়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে কবির যোগাযোগ নিয়ে বলেন।
এ দিনের সভায় পৌরোহিত্য করেন কবি সাংবাদিক অতীন দাশ। প্রথমে কবি করুণা রঞ্জন ভট্টাচার্যের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক ও প্রদীপ জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রাবণী সরকার একটি রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে অতীন দাশ বলেন, কবি করুণা রঞ্জন ছিলেন আমাদের অভিভাবক স্বরূপ। তিনি ছিলেন আপাদমস্তক কবি। ব্যাক্তি জীবন থেকে শুরু করে সামাজিক জীবনে পরিচয় ছিল কবি হিসাবে। তিনি একটা নিজস্ব ধারায় কবিতা চর্চা করতেন। ষাট সত্তর দশকে ও একের এক কবিতা প্রকাশ করেছেন। এখানকার সাহিত্য ধারায় তিনি অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন ।
এরপর কবি অশোক বার্মা বলে, শিলচরে কবিতা চর্চায় সবার সঙ্গে থেকেও তিনি ছিলেন পৃথক। তার বক্তব্যে ও কথায় এক জাদু ছিল। তিনি সবসময় আডডা প্রিয় মানুষ ছিলেন। কবি শতদল আচার্য বলেন, এ সময়ে কবি করুণা রঞ্জন চর্চার যথেষ্ট গুরুত্ব আছে, তিনি বলতে পারেন ‘এমন রবার নেই মোছে উনিশে মে”। এছাড়াও দেশভাগের যন্ত্রণা তার কবিতায় বিশেষভাবে উঠে আসে। এই সময়ে ভাষা বিপন্নতার সংকটে তাঁর চিন্তা চেতনা উত্তরণের কাজ করে।
কবি কস্তুরী হোম চৌধুরী কবির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের কথা ও ঘটনা তুলে ধরেন। পার্থ চক্রবর্তী করুণা রঞ্জন পর্ষদের কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা করেন। আরতি দাশ কবি করুণা রঞ্জনের সঙ্গে তাদের পারিবারিক সম্পর্কের কথা খুব সুন্দরভাবে বলেন। শিক্ষিকা সুজয়া ভট্টাচার্য তার ছোটবেলার বিভিন্ন ঘটনার মাঝে শিলচরের সাহিত্য জগতের অজানা গল্প তুলে ধরেন। শেষ পর্বে শিল্পী অপ্রতীম দাস বেহালা সুর বাজিয়ে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করেন।