Barak UpdatesHappeningsBreaking News
পাঠ্যপুস্তকে বরাকের গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরার দাবি তুলল বরাকবঙ্গ
ওয়েটুবরাক, ১২ অক্টোবর : বরাক উপত্যকার গৌরবময় ইতিহাস, স্বাধীনতা আন্দোলনের দিনগুলোতে এ অঞ্চলের উজ্জ্বল ভূমিকার কথা এ রাজ্যের ইতিহাস চর্চায় তুলে ধরার জন্য পাঠ্যপুস্তকে অধ্যায় সন্নিবিষ্ট করার দাবি তুলল বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন। বিষয়টি যাতে সরকারি স্তরে গুরুত্ব পায় সেজন্য সম্মেলন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে শিক্ষাক্ষেত্রে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালো। বৃহস্পতিবার অসম উচ্চতর মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সহ-সচিব (শিক্ষায়তনিক) অনুরূপা চৌধুরীর কাছে লিখিতভাবে সম্মেলনের তরফে এ দাবি তুলে ধরা হয়।
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষাদান সংক্রান্ত রাজ্য পর্যায়ের এক কর্মশালা এখন শিলচরে চলছে। এতে অংশ নিতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সহ-সচিব অনুরূপা চৌধুরী বর্তমানে এখানে রয়েছেন। এই কর্মশালার অবকাশে এদিন তিনি বঙ্গভবনে এলে বরাকবঙ্গের তরফে তাঁর কাছে এই দাবি তুলে ধরে বলা হয়, রাজ্যের ইতিহাস চর্চায় বরাক উপত্যকার গৌরবময় অতীত যথাযথভাবে সন্নিবিষ্ট করা না হলে তাকে রাজ্যের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস বলা যাবে না। এ ক্ষেত্রে অসম উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ইতিহাস বিষয়ের পাঠ্যপুস্তকে বরাকের অতীতগাথা এক অধ্যায়ে তুলে ধরতে উদ্যোগ নিক সংসদ।
এদিন বরাকবঙ্গের তরফে সহ-সচিব অনুরূপা চৌধুরীর হাতে স্মারকপত্র তুলে দেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গৌতম প্রসাদ দত্ত। সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইমাদ উদ্দিন বুলবুল, কাছাড় জেলা সভাপতি সঞ্জীব দেবলস্কর, প্রাক্তন জেলা সভাপতি তৈমুর রাজা চৌধুরী, দূর-শিক্ষা কেন্দ্রের আচার্য বিভাস রঞ্জন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহ -সম্পাদক অনিল পাল, সাহিত্য সম্পাদক দীপক সেনগুপ্ত, কেন্দ্রীয় সমিতির সদস্য সীমান্ত ভট্টাচার্য, জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ সুদীপ চক্রবর্তী । ছিলেন দূরশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষয়িত্রী গায়ত্রী কর দত্তচৌধুরীও৷ সাধারণ সম্পাদক দত্ত বলেন, ১৮৭৪ সাল থেকে এ অঞ্চল অসমের মানচিত্রে রয়েছে। স্বাধীনতা আন্দোলনে সিপাহী বিদ্রোহের দিনগুলো থেকে পরবর্তী প্রতিটি পর্যায়ে উল্লেখযোগ্যভাবে অংশ নিয়েছে বরাক উপত্যকা। এ অঞ্চল ঐতিহাসিকভাবেই তার আত্মপরিচয় তুলে ধরে ইতিহাস চর্চা করছে। শিক্ষা সংসদ চাইলে ইতিহাস গ্রন্থ প্রণয়নে বরাকবঙ্গ সহায়তা করবে। এই আলোচনায় এ অঞ্চলের ইতিহাসের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সঞ্জীব দেবলস্কর, তৈমুর রাজা চৌধুরী, ইমাদউদ্দিন বুলবুল, বিভাস রঞ্জন চৌধুরী, দীপক সেনগুপ্ত। জবাবে সহ-সচিব বরাকবঙ্গের প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দেন। তিনি সাহিত্য ও সামাজিক ক্ষেত্রে বরাকবঙ্গ যেভাবে উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে তার ভূয়সী প্রশংসা করে শিক্ষা প্রসারে সংগঠনের দূর-শিক্ষা কেন্দ্রের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন। তাঁর হাতে বরাকবঙ্গ প্রকাশিত গ্রন্থগুলো তুলে দেওয়া হয়। পরে তিনি বঙ্গভবনের গ্রন্থাগার পরিদর্শন করেন। উপস্থিত ছিলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক ও কর্মচারী সংস্থার রাজ্য সভাপতি কৃষ্ণেন্দু রায়ও।