India & World UpdatesHappeningsBreaking News
করোনা টিকায় নোবেল জয় কারিকো-ওয়েজম্যানের
ওয়েটুবরাক, ৩ অক্টোবর : চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতে নিলেন হাঙ্গেরিয়ান বিজ্ঞানী কাতালিন কারিকো এবং আমেরিকার ড্রু ওয়েজ়ম্যান। কোভিড অতিমারির সময়ে তাঁদের আবিষ্কৃত প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এমআরএনএ ভ্যাকসিন তৈরি সম্ভব হয়েছিল।
১৯০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত, কারিকো হলেন ১৩তম মহিলা বিজ্ঞানী, যিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন।
কারিকো এবং ওয়েজ়ম্যান দীর্ঘদিনের সহকর্মী। দু’জনেই পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত। যে গবেষণার জন্য তাঁরা পুরস্কৃত হলেন, তা প্রায় দু’দশক আগের কাজ। অনেকেই বলছেন, এই দু’জনের কর্মকাণ্ডকে সম্মান জানাতে স্টকহলম নোবেল কমিটি তাদের চিরন্তন প্রথা ভেঙে ফেলেছে। ২০০৫ সালে যে এমআরএনএ প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছিলেন তাঁরা, ২০১৯ সালের শেষ লগ্নে শুরু হওয়া কোভিড অতিমারিকে ঠেকাতে সাহায্য করেছে তা-ই। ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজ়ার/বায়োএনটেক এবং মডার্না সেই এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোভিডের টিকা তৈরি করে। কলেরা, টাইফয়েড, এমন বহু মহামারি এসেছে, কিন্তু যে দ্রুততার সঙ্গে এ বারে টিকা তৈরি হয়েছিল, ইতিহাসে তা বেনজির। এই কৃতিত্বের অন্যতম অংশীদার কারিকো এবং ওয়েজ়ম্যান।
১৯৯০-এর দশকেই বায়োকেমিস্ট কারিকো বুঝতে পেরেছিলেন, চিকিৎসাবিজ্ঞানে এমআরএনএ-র ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যদিও তিনি ও তাঁর সহকর্মী, ইমিউনোলজিস্ট ড্রু ওয়েজ়ম্যানের গবেষণা সাফল্যের মুখ দেখে ২০০৫ সালে এসে। তাঁদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়। সেখানে দেখানো হয়, নিউক্লিওসাইডের মডিফিকেশন বা পরিবর্তনের ফল ও মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউনো সিস্টেমে তার প্রভাব। তবে বিষয়টা খুব সহজ হয়নি। ‘সায়েন্স’ ও ‘নেচার’, দু’টি জার্নালই তাঁদের গবেষণাপত্র খারিজ করে দেয়। পরে ‘ইমিউনিটি’ নামক একটি জার্নালে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়। এর পরে ২০০৮ সাল ও ২০১০ সালে আরও দু’টি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন তাঁরা। তাতে আরও বিশদে ও স্পষ্ট ভাবে এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যাখ্যা করা হয়।
নোবেল কমিটির জুরির তরফে বলা হয়েছে, ‘‘আজকের আধুনিক যুগে মানব সমাজ এক মারণ সংক্রমণের মুখোমুখি হয়েছিল। নজিরবিহীন গতিতে তার প্রতিষেধক তৈরি করা হয়েছে। আর সেই কাজে এই দুই বিজ্ঞানীর অবদান অনস্বীকার্য। তাই এই দু’জনকে আমরা সবচেয়ে যোগ্য হিসেবে বেছে নিয়েছি।’’