Barak UpdatesHappeningsCultureBreaking News
বিধায়কের অভিনব আয়োজন, নরসিংটোলার পুকুরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান
ওয়েটুবরাক, ১৫ আগস্টঃ অভিনবই বটে! স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের জন্য শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী বেছে নিলেন নরসিংটোলা পুকুরকে। গোটা পুকুরকে এমনভাবে আলোকমালায় সাজিয়ে তোলেন যে, কেউ বিস্মিত না হয়ে পারেননি। অনুষ্ঠানসূচিও ছিল যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি একেবারে সময় বাঁধা। নৌকো আর স্পিড বোটে পুকুরের জলের ওপর মঞ্চ বাঁধা হয়। পার বাঁধাই অংশে ছিল বিশিষ্টজনদের বসার ব্যবস্থা। পুকুরের চতুর্দিকে ছড়িয়ে দেওয়া হয় অসংখ্য চেয়ার। বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিলচর রামকৃষ্ণ মিশনের সচিব স্বামী গণধীশানন্দ মহারাজ, ভারত সেবাশ্রম সংঘের শিলচর-প্রধান স্বামী ব্রজেশানন্দ মহারাজ, জেলাশাসক রোহণকুমার ঝা, পুলিশ সুপার নোমল মাহাত্তা, ডিডিসি রাজীব রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুব্রত সেন ও কল্যাণকুমার দাস, ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান মঞ্জুল দেব, সাংসদ-প্রতিনিধি পুলক দাস প্রমুখ। বন্দেমাতরম গানের পর স্বাগত বক্তৃতা করেন অনুষ্ঠানের আয়োজক বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী। বিশিষ্টদের সংবর্ধনার পরে সংক্ষেপে স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন দুই স্বামীজি এবং জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার।
এর পরই শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। আসাম রাইফেলসের ব্যান্ড সূচনাতেই অনুষ্ঠানকে উচ্চমাত্রায় বেঁধে দেয়। একে ধরে রেখে পরপর গাইলেন মেঘরাজ চক্রবর্তী, স্বর্ণালী আচার্য, সুরজ থাপা, বিশাল সোনার ও মৌটুসী সাহারায়। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। সঞ্চালনায় ছিলেন বিপ্লব বিশ্বাস ও স্বর্ণদীপ ঘোষ।
পুকুরের চারদিকে দাঁড়ানো-বসা দর্শক-শ্রোতারা সকলেই এমন আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। স্বাধীনতা দিবসের ছুটির সন্ধ্যাকে উপভোগ্য করে তোলায় শিল্পীদেরও তাঁরা ধন্যবাদ জানান।