NE UpdatesHappeningsBreaking News
মিজোরামে বাঙালি হেনস্তা, শিলচরে বিক্ষোভ, স্মারকপত্র
ওয়েটুবরাক, ১ জুনঃ মিজোরামে বাঙালিদের ব্যবসা-বাণিজ্যে বাধা দেওয়া হচ্ছে, বাঙালিদের দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশন (ওয়াইএমএ) । তাতে অসমের বরাক উপত্যকায় প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার শিলচরে থাকা মিজোরাম হাউসের সামনে বিভিন্ন সংগঠন বাঙালি হেনস্তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায়। তারা মিজোরাম সরকারের ডেপুটি রেসিডেন্ট কমিশনার এস কাপ্তলুয়াঙ্গার সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী জোরাম থাঙ্গার উদ্দেশে একটি স্মারকলিপি তাঁর হাতে তুলে দেন।
বরাক উপত্যকা সংগ্রামী ঐক্যমঞ্চ নামে নবগঠিত বিভিন্ন সংগঠনের জোটের অভিযোগ, গত সপ্তাহে ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশন (ওয়াইএমএ) আইজলের 91টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের হুমকি দেয়। বাঙালিরাই ওইসব দোকান চালান। ভয়ে কেউ দোকান খোলার সাহস পাচ্ছেন না। কিছুদিন পরপর বাঙালিদের ওপর মিজো সংগঠনগুলি হেনস্তা চালায় বলে তাঁরা স্মারকপত্রে উল্লেখ করেন। এর স্থায়ী সমাধানের জন্য তাঁরা মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
ডেপুটি রেসিডেন্ট কমিশনার এস কাপ্তলুয়াঙ্গা অবশ্য ওয়াইএমএ-র দোকান বন্ধের হুঁশিয়ারিকে বাঙালি নিগ্রহ বলতে নারাজ। তাঁর কথায়, আইজলে সিমেন্ট-রড-বালুর সমস্ত দোকানের লাইসেন্স মিজোদের নামে নেওয়া হলেও সেগুলি চালান অমিজোরা। বেআইনি লেনদেনের মাধ্যমে বহিরাগতদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন একাংশ মিজো। এরই প্রতিবাদ জানিয়েছে ওয়াইএমএ।
ওয়াইএমএ-র কেন্দ্রীয় সমিতির সম্পাদক মালসৌমলিয়ানাও বলেন, তাঁরা বাঙালি বা কোনও অমিজোকে নয়, মিজো ব্যবসায়ীদেরই রাজ্যের আইন মেনে ব্যবসাবাণিজ্য করতে সতর্ক করে দিয়েছেন। কোনও গোপন লেনদেনে নিজের লাইসেন্স অন্যকে ব্যবহারের সুযোগ দিলে তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন। যে দোকানগুলি বন্ধ করা হয়েছিল, সেগুলি দুইদিন ধরে ফের খুলছে বলে জানা গিয়েছে।