Barak UpdatesHappeningsBreaking News
প্রিপেইড স্মার্ট মিটার নাগরিক মিছিলে কাঁপল শহর শিলচর
ওয়ে টু বরাক, ১৫ মে ঃ প্রিপেইট মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন কাছাড় জেলা কমিটির আহ্বানে আয়োজিত নাগরিকদের উত্তাল প্রতিবাদে কেঁপে উঠল শিলচর শহর। এ দিন অফিস পাড়ায় শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তির পাদদেশে জমায়েত হয়ে শতাধিক নাগরিক প্রিপেইড স্মার্ট মিটার জোর করে চাপিয়ে দিয়ে জনসাধারণকে অবাধ লুন্ঠন করার চক্রান্তকে প্রতিহত করতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে অফিস পাড়া এলাকার আকাশ বাতাস মুখরিত করে তোলেন। প্রিপেইড স্মার্ট মিটারের বিরোধিতা করে শিলচরে নাগরিকদের প্রতিবাদ মিছিল বের হতেই পুলিশ মিছিলে বাধাদান করায় পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে। মিছিল চলাকালীন সময়ে পুলিশ ও জনতার মধ্যে ঠেলাধাক্কা ও হাতাহাতি শুরু হয়।
পরে পুলিশকে পেছনে ফেলে শতাধিক মানুষের মিছিলটি এগিয়ে চলে। শহরের বিভিন্ন সড়ক পরিক্রমা শেষে কাছাড়ের জেলাশাসক কার্যালয়ের সামনে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাধ্যমে জেলাশাসককে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। অতি সত্বর প্রিপেইড স্মার্ট মিটার প্রত্যাহার করা না হলে আগামী দিনে আন্দোলন আরও বৃহৎ আকার ধারণ করবে বলে এ দিন কড়া ভাষায় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। মিছিলে কংগ্রেস,এআইডিএসও,আম আদমি পার্টি ও বিভিন্ন দল সংগঠন সহ শহরের একাধিক শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মিছিল আয়োজনকারী সংস্থার পক্ষে বলা হয়, নাগরিক মিছিল সংগঠিত করার প্রশাসনিক অনুমতি চেয়ে গত ৬ মে জেলাশাসকের কাছে সংগঠনের পক্ষ থেকে আবেদন জানালেও তা দিতে গিয়ে নানা ধরনের টালবাহানা করা হয়। সোমবার বেলা সোয়া বারোটা পর্যন্ত সংগঠনের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার ও জেলাশাসক কার্যালয়ে দৌড়ঝাঁপ করলেও কাগজ খুঁজে না পাওয়ার বাহানা দেখিয়ে তা আটকে রাখা হয়। ফলে শহরের বিশিষ্ট বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকরা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন।
অবশেষে সংগঠনের আসাম রাজ্য কমিটির আহ্বায়ক অজয় আচাৰ্য উপস্থিত জনগণের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য বলেন, দেশের কর্পোরেট প্রভুদের পরামর্শ মেনে বিদ্যুৎ খন্ডের বেসরকারিকরণের স্বার্থে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এই ব্যবস্থায় সাধারণ গ্ৰাহকরা সর্বস্বান্ত হবেন এবং মুনাফা লুটবে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো। তিনি এও বলেন, এপিডিসিএল যদিও বর্তমানে আসাম সরকারের অধীনে একটি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি হিসেবে কাজ করছে, কিন্তু ভবিষ্যতে তা ব্যক্তিগত খন্ডে চলে যাবে। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের হাতে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা না থাকলে ইচ্ছেমত বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পাবে এবং জনগণের অভিযোগ জানানোর কোনও সুযোগ থাকবে না। তিনি বলেন প্রিপেইড স্মার্ট মিটার ব্যবস্থা চালুর পর থেকে গোটা রাজ্যে যে হারে বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে ভবিষ্যতে কী হবে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।