NE UpdatesHappeningsBreaking News
উত্তর-পূর্ব এখন আর পর নয়, বলে গেলেন মোদি
ওয়েটুবরাক, ১৪ এপ্রিল: বিহু নৃত্য ও ঢোলবাদনের জোড়া বিশ্বরেকর্ডের শংসাপত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাশে নিয়ে কর্তৃপক্ষের হাত থেকে গ্রহণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। প্রধানমন্ত্রীর সামনে বিহু পরিবেশন করেন ১১,৩০০ নৃত্যশিল্পী ও ঢোলবাদক। মোদি বলেন, “একদা অশান্ত উত্তর-পূ্র্বের যুবারা এখন হিংসা ছেড়ে শান্তি ও প্রগতির পথে পা মিলিয়েছেন।”
তাঁর দাবি, “দশকের পর দশক যোগাযোগকে গুরুত্ব না দিয়ে পূর্বোত্তরকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু গত ৯ বছরে ভৌগোলিক যোগাযোগের পাশাপাশি ডিজিটাল, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক যোগাযোগেও বিপ্লব এসেছে।” বিহুর অনুষ্ঠানেই মোদি পলাশবাড়ি ও শুয়ালকুচির সংযোগকারী সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, নামরূপে মিথানল প্লান্টের উদ্বোধন, রংঘর ও শিবসাগরের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের শিলান্যাস, পাঁচটি রেল প্রকল্প ও অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস করেন।
তার আগে চাংসারিতে এইমস এবং নগাঁও, নলবাড়ি, কোকরাঝাড় মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন, ‘আপকে দ্বার আয়ুষ্মান’ অভিযানের সূচনা ও আইআইটিতে ‘অসম অ্যাডভান্সড হেল্থকেয়ার ইনোভেশন ইনস্টিটিউট’-এর শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসকে নিশানা করে তিনি বলেন, “কৃতিত্বলোভীরা উত্তর-পূর্বকে পর করে রেখেছিল। তাই জনতাও তাঁদের সরিয়ে দিয়েছে।” তাঁর বক্তব্য, কয়েক দশক ধরে পূর্বোত্তরে পরিবারতন্ত্র, দুর্নীতি ও অস্থিরতার রাজনীতি চলছিল, তাই বিকাশ হয়নি। দেশের অবস্থাও ছিল তথৈবচ। ২০১৪ সালের পরে নতুন ১৫টি এইমসের কাজ শুরু হয়েছে। দেশে ৩০০ মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে, এমবিবিএস আসন বেড়ে ১ লক্ষ হয়েছে এবং পিজি আসন বেড়েছে ১১০ শতাংশ। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন গড়া হয়েছে। সংরক্ষণের বিস্তার ঘটেছে। ভারতীয় ভাষায় ডাক্তারি পড়ানো শুরু হয়েছে। মোদির দাবি, “বিজেপি ভোটব্যাঙ্ক নয়, জনসেবার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে।”