NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
জলের বোতলে মশা, আলি রেজার রিট পিটিশনে হাই কোর্টের নোটিশ
ওয়েটুবরাক, ৩ এপ্রিলঃ ২০ লিটারের জলের বোতল কিনে এনে নজরে পড়ে, ভেতরে মশা সহ আরও কিছু জিনিস পড়ে রয়েছে। ক্রেতা শিলচর ওয়াটার ওয়ার্কস রোডের বাসিন্দা, আইনজীবী আলি রেজা ওসমানি অভিযোগ জানিয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কিন্তু তাঁরা কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি হাই কোর্টে রিট পিটিশন করেন। গত শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জীবকুমার মেধির বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। ওসমানির হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী এফজেড মজুমদার এবং বিপক্ষে ছিলেন সরকারি আইনজীবী এম বর্মন ও এম ভুইয়া। সব শুনে বিচারপতি বিবাদীদের কাছে নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানান। চার সপ্তাহের মধ্যে সবাইকে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওসমানি এই মামলায় বিবাদী করেন রাজ্য সরকার (মূলত খাদ্য, গণবণ্টন ও উপভোক্তা কমিশনার), খাদ্য এবং ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমিশনার, কাছাড়ের জেলাশাসক, কাছাড়ের ফুড সেফটি অফিসার এবং ডিডিএস ইন্ডাস্ট্রিজকে।
ওসমানি আদালতকে জানান, ফুড অ্যানালিস্টও পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিয়েছে, অভিযোগ যথার্থ। এই জল পানের উপযুক্ত নয়। এর পরও কাছাড়ের স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম সঞ্চালকের অফিসে থাকা ফুড সেফটি অফিসার এক বছরের বেশি সময় ধরে কোনও ব্যবস্থা নেননি। বরং ফুড অ্যানালিস্টের রিপোর্টটিকে হিমঘরে ফেলে রেখেছেন।
হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে ওসমানি ওয়েটুবরাক-কে বলেন, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির ঘটনা। ২০ লিটার জলের বোতলে মশা পাওয়ার পরে প্রথমে কোম্পানিকে জানাই। তারা মানুষ পাঠাবে বলেই দায়িত্ব খালাস করে। পরে ফুড সেফটি অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। অফিসার সেই জলের নমুনা গুয়াহাটি স্থিত সরকারি ল্যাবরেটরিতে পাঠান। ওসমানি জানান, সংশ্লিষ্ট আইনে ১৪ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি তিন মাসেও রিপোর্টের কথা জানতে না পেরে ল্যাবরেটরিতে যোগাযোগ করেন। তাঁরা রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছে বললেও শিলচরের ফুড সেফটি অফিসার জানান, তিনি তা পাননি। পরে গত বছর ওসমানি জেলাশাসকের কাছে নালিশ জানান। জেলাশাসক স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম সঞ্চালকের কাছে রিপোর্ট তলব করেন। যুগ্ম সঞ্চালক তখন জানান, জলে দোষের কথা ল্যাব টেস্টে বলা হলেও অভিযোগ বা জলের নমুনা সংগ্রহ প্রক্রিয়া মেনে হয়নি। ফলে কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব নয়। এর পরই ওসমানি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।