NE UpdatesAnalyticsBreaking News
৫ বছরে আসামে পুলিশের লকআপে ২৮ কয়েদির মৃত্যু
ওয়ে টু বরাক, ১৫ ফেব্রুয়ারি : মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা প্রায়ই আসাম পুলিশকে জনগণের সেবা দায়িত্ব নিয়ে করার কথা বলেন। কিন্তু এরপরও দেখা যায়, একাংশ পুলিশ জনগণের প্রতি থাকা নিজেদের দায়িত্ব ভুলে যান। কিছু পুলিশ আধিকারিক ও জওয়ানের আচরণ ও ব্যবহারের জন্য আসাম পুলিশের খাকি উর্দিতে দাগ লেগেছে, এমন উদাহরণও কম নয়।
সম্প্রতি রাজ্যসভায় আসাম পুলিশের এক নেতিবাচক চিত্র উন্মোচিত হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত আসাম পুলিশের লকআপে ২৮ জন কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৭-১৮ সালে ১১ জন, ২০১৮-১৯ সালে ৫ জন, ২০১৯-২০ সালে ২ জন, ২০২০-২১ সালে ১ জন এবং ২০২১-২২ সালে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে সারা দেশের তথ্য আরও ভয়াবহ। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশে ৬৬৯ জন আসামির পুলিশের জিম্মায় থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। ২০২১-২২ সালের তালিকা অনুযায়ী, পরিসংখ্যানে প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র, দ্বিতীয় স্থানে গুজরাট, তৃতীয় স্থানে বিহার এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে রাজস্থান। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে দাখিল হওয়া মামলার ভিত্তিতে এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
উল্লেখ্য, তথ্য অনুযায়ী আসাম পুলিশের আচরণ সাধারণ মানুষের সঙ্গে সুবিধাজনক নয়। রাজ্য পুলিশ দায়বদ্ধতা (Accountability) কমিশনের প্রতিবেদনে আসাম পুলিশের এক নেতিবাচক ছবি সামনে এসেছে। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, আসাম পুলিশ অর্ধ শতাধিক গুরুতর অভব্য আচরণ এবং দুশতাধিক অভব্য আচরণের ঘটনা সংঘটিত করেছে। প্রসঙ্গত, পুলিশের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগগুলো গ্রহণ করে যথোপযুক্ত পরামর্শ দেওয়ার জন্য ২০০৭ সালের একটি আইনের অধীনে রাজ্য সরকার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির মাধ্যমে পুলিশ অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি কমিশন গঠন করেছিল।