Barak UpdatesHappeningsBreaking News
টেপ দিয়ে আসছে কালো-দুর্গন্ধময় জল, শিলচর বিবেকানন্দ রোডে মারাত্মক দুর্ভোগ
১১ অক্টোবর ঃ পানীয় জলের জন্য পুরসভাকে মাসে মাসে কর দেন, অথচ বিনিময়ে পাওয়া যাচ্ছে কালো ও দুর্গন্ধময় জল। এই জল পান করা তো দূরের কথা, পায়ে ঢাললে পর্যন্ত এলার্জি হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা শিলচর শহরের বিবেকানন্দ রোডের। অথচ এই পানীয় জলের জন্য সভা, সমিতি বা আন্দোলনও কম করেননি এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু আজ পর্যন্ত এর সুরাহা হয়নি।
পানীয় জল নিয়ে বিবেকানন্দ রোডের নাগরিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপতি সন্ধ্যা নাথের বক্তব্যেও ক্ষোভ ঝরে পড়ল। তিনি সাফ বললেন, কালো ও দুর্গন্ধময় জল পান করার কোনও উপায় নেই। পায়ে এই জল ঢাললে এলার্জি পর্যন্ত হয়ে যায়। তাছাড়া কিছু সময় টেপ থেকে জল ছাড়ার পর কখনও বা ১৫-২০ মিনিট ভাল জল আসে। আবার কখনও তাও নয়। পানীয় জলের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সবার পক্ষে যে বোরিং করা সম্ভব নয়, তাও বলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, পুজোর কিছুদিন আগে জল তবুও কিছুটা ভাল ছিল, কিন্তু এখন আর ব্যবহার করার মতো নয়।
সন্ধ্যা বলেন, বিবেকানন্দ রোডে পিএইচই-র পাইপলাইন পুরোপুরি অকেজো হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে জেসিবি দিয়ে মাটি খুঁড়ে পাইপ ঠিক করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু যেখানেই মাটি খোঁড়া হয়েছে, লিকেজ পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় নতুন পাইপলাইন বসানো ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। তিনি বলেন, এই কাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করতে হবে। নয়তো নিস্তার পাওয়ার কোনও পথ নেই। এই বিরাট এলাকার মানুষ পানীয় জল নিয়ে দিনের পর দিন দুর্ভোগ পোহালেও কেউ খোঁজখবরই নিচ্ছে না। বলতে গেলে এলাকা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।
বিবেকানন্দ রোডের মানুষ যে এ নিয়ে আন্দোলন করেননি তা নয়। গত এপ্রিল মাসেও এলাকার মহিলারা একজোট হয়ে জেলাশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে তাঁদের ক্ষোভের কথা জানিয়ে এসেছেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানের নামে অনেকের বাড়ির পাইপ নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। আর এই ভাঙা পাইপ দিয়ে নর্দমার জল ঢুকে পানীয় জলের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। সন্ধ্যা বলেন, এ বারও তাঁরা বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তীর সঙ্গে এ নিয়ে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তিনি পুরসভাকে একটি মেসেজ পাঠিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছেন। ফলে এ বার তাঁরা বড় ধরনের আন্দোলনে নামার চিন্তাভাবনা করছেন। বিবেকানন্দ রোডে সড়ক অবরোধের পাশাপাশি জেলাশাসকের কার্যালয়ে ধর্না কর্মসূচির হুমকিও দিয়েছেন তিনি। আক্ষেপ করে বলেন, বিজেপি সরকারের আমলে এতো এতো কাজ হচ্ছে, কিন্তু বিবেকানন্দ রোডের পানীয় জলের সুরাহা হচ্ছে না।