Barak UpdatesHappeningsBreaking News
গৌতমদার আঙুল ধরেই সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এসেছিলাম, লিখেছেন ডা. রাজীব কর
//ডা. রাজীব কর//
ভাষা শহিদ স্টেশন শহিদ স্মরণ সমিতির মুখ্য সাংস্কৃতিক সংযোজক এবং আমাদের সহযোদ্ধা সংগঠন ‘আর্য সংস্কৃতি বোধনী সমিতি’র প্রতিষ্ঠাতা গৌতম ভট্টাচার্য গত ১১ এপ্রিল মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পর গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর ৩টে নাগাদ অসময়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন৷
ক্লাস সিক্সে পড়তাম। গৌতমদা আঙুল ধরে নিয়ে আমায় নিয়ে এসেছিলেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। সেই শুরু। আমার মত অনেকেই সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছেন গৌতমদার হাত ধরে। গৌতমদা হচ্ছেন সাংস্কৃতিক, সামাজিক লড়াইয়ের এক সর্বক্ষণের কর্মী। এক গৃহী সন্ন্যাসী।
গৌতমদারা সেই সময়ে তারাপুর মদনমোহন আখড়ার পেছনে ছোট্ট একটা বাড়িতে থাকতেন। গৌরাদা, দিদি, মাসিমা, মেসোমশাই আর গৌতমদা এই ছিল পরিবার। কী পর্যন্ত দুষ্টুমি করেছি, জ্বালিয়েছি মাসিমাদের ওই সময়ে….! পরে ভান্ডার গলিতে (নরসিংহ রোড) বাড়ি তৈরি করেন তাঁরা।
৯ এপ্রিল আমার সাথে গৌতমদার শেষ দেখা হয় তারাপুর ওভারব্রিজের সামনে। মিনিট পাঁচেক কথা হয়। সবটাই অত্যন্ত স্বাভাবিক।
…..কী কী যে ঘটে গেল, … ভাবা যায় না।
আমি হারালাম আমার এক প্রিয় দাদাকে।
এ বড় কষ্টের৷ এক অপূরণীয় ক্ষতি।।
জন্মলগ্ন থেকে উনিশের শক্তিশালী সহযোদ্ধা, ‘ভাষা শহিদ স্টেশন শিলচর’ নামকরণের এক জোরদার সমর্থক গৌতমদার এই অকালমৃত্যু আমাদের কাছে দুঃস্বপ্নের।