NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
রবীন্দ্র জয়ন্তী ও শহিদ দিবসে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের পরীক্ষা, প্রতিবাদে সরব বরাকবঙ্গ
ওয়েটুবরাক, ১২ এপ্রিল : চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা রবীন্দ্র জয়ন্তী এবং ভাষাশহিদ দিবসেও গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ৷ সোমবার এরা যে সূচি প্রকাশ করেছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তা পরিবর্তনের দাবি তুলে পরিষদের দরবারে গিয়েছে বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সন্মেলন।
পরীক্ষা সূচি অনুসারে ৯ মে রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিন সকালবেলা মিউজিক এবং বিকালে পদার্থবিদ্যা , রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অ্যাকাউন্টেন্সি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। ১৯মে ভাষাশহিদ দিবসে সকালবেলা অর্থনৈতিক ভূগোল ও মিউজিক এবং বিকালে গণিত পরীক্ষার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে । পরীক্ষার সূচি প্রকাশের পরই অসন্তোষ দানা বাঁধতে শুরু করে । মঙ্গলবার বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের তরফে বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় ।
সম্মেলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গৌতম প্রসাদ দত্ত উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পঙ্কজ বরঠাকুরের সঙ্গে কথা বলে অসন্তোষের কথা জানান। তিনি প্রশ্ন রাখেন, বারবার কেন এমনটা করা হচ্ছে । গতবছরও এভাবে পরীক্ষার সূচি নির্ধারিত হওয়ার পর সম্মেলনের তরফে গুয়াহাটিতে পরিষদ কার্যালয় গিয়ে বরাক উপত্যকার ভাষা আবেগে আঘাত না করার কথা বলা হয়েছিল। অনেক টালবাহানার পর শেষ পর্যন্ত ১৯ মে পরীক্ষা গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়ে সূচি পরিবর্তন করেছিল । সাধারণ সম্পাদক দত্ত পরিষদের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে এই বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন।
জবাবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরঠাকুর বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনকে লিখিতভাবে তাদের বক্তব্য পেশ করার পরামর্শ দেন। বলেন, লিখিত বক্তব্য জানানো হলে পরিষদের উপযুক্ত পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে । টেলিফোনে আলাপের পরই সম্মেলনের তরফে ৯ মে রবীন্দ্রজয়ন্তী ও ১৯মে ভাষাশহিদ দিবস শিক্ষা পরিষদের পরীক্ষার সূচির বাইরে রাখার দাবি জানিয়ে চেয়ারম্যান রুকমা গোহাঁই বরুয়া, সচিব পুলক পাটগিরি ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পঙ্কজ বরঠাকুরের কাছে চিঠি পাঠানো হয় । বারবার কেন এমন ঘটনা ঘটছে সে নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাধারণ সম্পাদক দত্ত এই দুটি দিন উদযাপন দিবস হিসেবে নির্ধারণ করে রাখার পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত বহালের দাবি জানান। চিঠিতে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় এসসিইআরটি শিক্ষাসংক্রান্ত যে ক্যালেন্ডার সম্প্রতি প্রকাশ করেছে, সেখানে রবীন্দ্রজয়ন্তী ও শহিদদিবস উদযাপন দিবস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে । একই রাজ্যে দুই নিয়ম কেন, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান দত্ত।
এর আগে সাধারণ সম্পাদক দত্ত তিন বিধায়ক কৌশিক রাই, দীপায়ন চক্রবর্তী ও কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন । বারবার কেন বরাক উপত্যকার ভাষা আবেগে আঘাত করা হচ্ছে, এ প্রশ্নটি রেখে তাদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে আর্জি জানানো হয় । তিন বিধায়কই বিষয়টি নিয়ে পরিষদ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে সাধারণ সম্পাদক দত্তকে আশ্বাস দিয়েছেন । এদিকে পরিষদ কর্তাদের কাছে পাঠানো সম্মেলনের চিঠির প্রতিলিপি উপত্যকার সব বিধায়কদের কাছে পাঠিয়ে তাদের এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার আবেদন রাখা হয়েছে।