Barak UpdatesHappeningsCultureBreaking News
সাংস্কৃতিক শোভাযাত্রা, রক্তদানে শুরু রূপমের হীরক জয়ন্তী
ওয়েটুবরাক, ৪ এপ্রিল : হীরক জয়ন্তীর সূচনায় প্রকৃত অর্থেই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করল রূপম৷ দল বেঁধে একই রকমের পোশাক পরে সংস্থার সদস্যরা পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে যেমন যোগ দিয়েছেন, তেমনি ছিলেন শহরের অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ৷ কেউ ব্যানার হাতে, কেউ ব্যানার ছাড়া৷ ছিল বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রী৷ চা জনগোষ্ঠী, নেপালি, মণিপুরি, বিষ্ণুপ্রিয়া জনগোষ্ঠীর পরম্পরাগত পোশাক পরে শোভাযাত্রায় যোগ দিয়েছেন অনেকে৷ শুরুতে ছিল ধুতি-গেঞ্জি পরিহিত ঢাকির দল৷
বছর ভর বড় কিছু হতে থাকবে, রবিবারের সকালে ঘুম থেকে উঠেই তা জেনে গিয়েছেন শিলচরবাসী৷ নরসিংটোলা মাঠ থেকে শোভাযাত্রা বেরিয়ে ভাওয়াল পয়েন্ট, নাজিরপট্টি, প্রেমতলা, অম্বিকাপট্টি, চার্চ রোড, শিলংপট্টি হয়ে নরসিংটোলাতেই ফিরে আসে৷
পরে সকাল এগারোটায় গোলদীঘি মলে হয় রক্তদান শিবির৷ সহায়তায় বরাক ভ্যালি ভলান্টারি ব্লাড ডোনারস ফোরাম এবং কাছাড় ক্যানসার হাসপাতাল৷ শুরুতেই সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য রাখেন ডা. অনিরুদ্ধ বিশ্বাস, মহিতোষ পাল, করুণাময় পাল, ড. মনোজকুমার পাল, নিখিল পাল প্রমুখ৷ মোট ১৫ জন রক্তদান করেন সেখানে৷
প্রসঙ্গত, হীরক জয়ন্তী বর্ষে সর্বভারতীয় একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতাকেও ‘বিশেষ’ চেহারা প্রদানের কাজ চলছে৷ সংস্থার হীরক জয়ন্তীর সঙ্গে নাটক প্রতিযোগিতাও এবার ৪১-তম বর্ষে পদার্পণ করল৷ ৮ তারিখে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হবে৷ সমাপ্তি ১২ এপ্রিল৷ এ বার ৫টি দল কলকাতা থেকে আসছে ৷ ত্রিপুরারও থাকবে দুইটি দল৷ একটি দল আসছে মরিয়নি থেকে৷ বঙ্গভবনে আয়োজিত নাটক প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে বরাক উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তের নাট্যদলগুলি৷ বিচারক কলকাতার ড. অপূর্বকুমার দে, আগরতলার নারায়ণ দেব এবং শিলচরের ড. বিশ্বতোষ চৌধুরী৷
প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. রাধিকারঞ্জন চক্রবর্তী৷ প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন যুগশঙ্খ পত্রিকা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান বিজয়কৃষ্ণ নাথ৷ বিশেষ অতিথি জেলাশাসক কীর্তি জল্লি৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দরুন প্রথমদিন তিনটি নাটক মঞ্চস্থ হবে৷ পরের তিনদিন ছয়টি করে৷ প্রতিদিন নাটক শুরু হবে বিকাল তিনটায়৷ তবে শেষদিন ১২ এপ্রিল সকাল দশটায় অনুষ্ঠিত হবে নাট্য আলোচনা৷ বিকালে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রয়েছে গুণীজন সংবর্ধনা৷ সংবর্ধিত হবেন সঙ্গীতশিল্পী পাঞ্চালী ধর, ক্রীড়াব্যক্তিত্ব আশুতোষ রায় এবং নাট্যব্যক্তিত্ব মতিলাল দে (ধর্মনগর)৷
বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসাবে কণ্ঠশিল্পী মান্না দের ১০৩-তম জন্মদিন উদযাপন করা হবে৷ এ ছাড়া, তাঁদের হীরক-ভাবনায় রয়েছে, উপত্যকা জুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে সেখানকার শিল্পীদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন৷ সে জন্য আপাতত আটটি সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে৷ এরাই নিজেদের এলাকায় এই কর্মসূচি সম্পাদনে রূপমকে সহায়তা করবে৷