Barak UpdatesHappeningsBreaking News

সেচপ্রকল্পে জল না বের হলে অর্থ মিলবে না, সতর্ক করে দিলেন সিংঘল

ওয়েটুবরাক, ২৫ মার্চ : কাছাড় জেলার অভিভাবক মন্ত্রী তথা জলসেচ মন্ত্রী অশোক সিংঘল শুক্রবার কাশীপুর ও বাদ্রীঘাটে জলসেচের জন্য দুটি টিউবওয়েল উদ্বোধন করেন। তাতে ওই দুটি এলাকায় ৬০বিঘা জমি জলসেচের আওতায় আনা হয়েছে। সৌরচালিত কাশীপুর প্রকল্পটি ৬ লক্ষ ৬০ হাজার এবং বিদ্যুৎ চালিত বাদ্রীঘাট প্রকল্পটি ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে চালু করা হয়েছে। এর আগে জলসেচ মন্ত্রী শুক্রবার উধারবন্দে বিভাগীয় অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার-এর কার্যালয় ভবনটি উদ্বোধন করে ভাষণে বলেন, জেলায় কৃষিকাজের উন্নতির জন্য এক হাজারটি সৌরচালিত হ্যান্ড পাম্প বন্টন করা হবে।

এরপর মন্ত্রী ভরাখাই গ্রান্টে ১৮২ পরিবারে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। বিকেলে অভিভাবক মন্ত্রী সিংঘল অর্থ ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রীকে নিয়ে জেলার সব বিভাগের এক রিভিউ মিটিং নেন। তাতে তিনি সেচ প্রকল্প গুলিতে জল বের না হলে পেমেন্ট না দিতে কড়া নির্দেশ দেন। বৈঠকে জেলায় নির্মীয়মান ৯৮৬ টি প্রকল্পের মধ্যে মাত্র ২৯৫টি চালু করা সম্ভব হওয়ায় মন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তৎক্ষণাৎ তিনি চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে ফোনে আলাপ করে অতিরিক্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে শিলচরে এসে ১৫ দিন অবস্থান করে প্রকল্পগুলি শেষ করতে নজরদারির নির্দেশ দেন।

বৈঠকে জানানো হয় আমরুত প্রকল্পের মাধ্যমে মেডিকেল কলেজের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ১৭৭ কোটি টাকায় নির্মীয়মান জল প্রকল্পটির রুপায়ণ আগামী ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এটির মাধ্যমে ২০৫০ সালে ৪ লক্ষ্য ৩৬ হাজার লোকের পানীয় জলের সংস্থাপন করা যাবে। পিএইচই বিভাগ থেকে জানানো হয়, জেলায় ডিভিশন ওয়ানে ৩৫০টি এবং বিভিন্ন টুতে ৫২৫টি পানীয় জল প্রকল্পের কাজ চলছে। এরমধ্যে যেগুলির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে সেগুলি একমাস ট্রায়াল’ দিয়ে সন্তুষ্ট হলে ইউজার্স কমিটিকে হ্যান্ডওভার করতে জেলাশাসককে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, মন্ত্রী ইউজার্স কমিটিতে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের শামিল করে একটি মডেল তৈরির নির্দেশ দেন প্রশাসনকে। বৈঠকে বিধায়ক দ্বী দীপায়ন চক্রবর্তী শিলচর বিধানসভা চক্রে ৬টি পানীয় জল প্রকল্প বন্ধ হওয়ায় এগুলি পুনরায় চালু করার দাবি জানালে বিভাগ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। পূর্ত বিভাগ থেকে সভায় জানানো হয়েছে ইটখোলা, বাদ্রী ,মধুরাঘাট এবং ডুঙরিপারে সম্পূর্ণ সেগুলির অ্যাপ্রোচের নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে। পূর্ত বিভাগ থেকে জানানো হয়, বড়খলা-কালাইন ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ পূর্ত সড়কটি আসাম মালার অধীনে নির্মাণ করা হবে। গ্রাম উন্নয়ন বিভাগের অধীনে জমি ইত্যাদির কারণে কাজে হাত দিতে না পারা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ৫ হাজারটি ঘরের নির্মাণ কার্যের জটিলতা অবসানের জন্য আগামী তিন দিনে নীতি প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন অভিভাবক মন্ত্রী৷ আগামী ৫০ দিনে এই আবাস  গৃহগুলো নির্মাণের কাজ শেষ করতে বলেন তিনি।

অভিভাবক মন্ত্রী সিংঘাল এর আগে মেডিক্যাল কলেজের পাশে নির্মীয়মাণ আমরুতের জল প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন এবং বাদ্রীঘাটে নির্মিত বরাক নদীর সেতুটি কাশীপুরের দিকে প্রত্যক্ষ করেন। শুক্রবারের মন্ত্রীর সফরকালে অন্যান্যদের মধ্যে বিধায়ক কৌশিক রাই, বিধায়ক মিহির কান্তি সোম, বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী সহ জেলাশাসক কীর্তি জল্লি এবং বিভাগীয় এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দীপক কুমার গোস্বামী সঙ্গে ছিলেন৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker