Barak UpdatesHappeningsBreaking News
চিকিৎসাধীন প্রসূতির মৃত্যুতে নাইটিঙ্গেলে হট্টগোলPregnant women dies at Nightangle; wrath upon Dr Arun Paul Choudhury
Police rescue Dr Paul Choudhury from the hands of mob
ওয়েটুবরাক, ৪ নভেম্বর : চিকিৎসাধীন প্রসূতির মৃত্যু ঘটেছে শিলচর নাইটিঙ্গেল হাসপাতালে৷ অভিযোগ, চিকিৎসায় বিভ্রাট ও গাফিলতির দরুন প্রাণহানি ঘটেছে শিলচর শ্যামানন্দ আশ্রম রোডের সুমিত্রা পালের ৷ খবর পেয়ে মৃতার আত্মীয়স্বজন এবং শ্যামানন্দ আশ্রম রোড, পাবলিক স্কুল রোডের প্রচুর মানুষ নাইটিঙ্গেলের সামনে জমায়েত হন৷ ক্ষুব্ধ জনতা হাসপাতালে ভাঙচুর চালান৷ হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে বচসা, ঠেলাধাক্কাও ঘটে৷ মৃতার স্বামী ইন্দ্রজিৎ পাল জানান, রুটিন চেকের জন্য গত ৩০ অক্টোবর তাঁর স্ত্রী ডা. অরুণ পালচৌধুরীর কাছে গিয়েছিলেন৷ তিনি তাঁকে পরদিন ভর্তির পরামর্শ দেন৷ সে অনুসারে পরদিন সুমিত্রা পালকে নাইটিঙ্গেলে ভর্তি করানো হয়৷
ইন্দ্রজিতের কথায়, সব ঠিকঠাক চললেও বুধবার সেলাইনের সঙ্গে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হলে সুমিত্রা প্রচণ্ড অস্বস্তি বোধ করেন৷ আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওই একই ইঞ্জেকশন আবার দেওয়া হয়৷ সুমিত্রা বারবার এটি দিতে বারণ করেন৷ বলেন, এটি দিতেই সে দিন মৃত্যুমুখে পড়েন৷ কিন্তু নার্সরা কোনও কথা শুনতে চাননি৷ বলেন, ডা. অরুণ পালচৌধুরী লিখে দিয়েছেন, এটা দিতেই হবে৷ আর ওই ইঞ্জেকশন দিতেই সুমিত্রা ছটফট করতে থাকেন৷ দ্রুত তাকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু বাঁচানো যায়নি ৩২ বছরের সুমিত্রাকে ৷
এর পরই ডা. অরুণ পালচৌধুরী জনতার ক্ষোভের মুখে পড়েন৷ পরে পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়৷ সেখানে বসে তিনি জানান, প্রসূতির প্রচণ্ড হাই প্রেসার, ছিল ডায়াবেটিসও৷ এর সঙ্গে যুক্ত হয় হৃদযন্ত্রের সমস্যা৷ সেলাইন-ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল মূলত হৃদযন্ত্রের সমস্যার দরুন৷ কিন্তু ওষুধ কাজ করার আগেই তা তীব্র হয়ে ওঠে৷ আইসিইউ-তে নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হলেও সে সুযোগ মেলেনি৷ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা গিয়েছেন সুমিত্রা পাল৷ ভুল চিকিৎসা বা সেলাইনে ইঞ্জেকশন দিতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগ ঠিক নয় বলেই দাবি তাঁর৷