Barak UpdatesHappeningsBreaking News

গাড়ি হাইজ্যাক করতে গিয়ে ধৃত দুই ভাই
2 brothers nabbed while attempting to hijack a car near Silchar Airport

ওয়েটুবরাক, ৩১ অক্টোবরঃ যাত্রী সেজে গাড়ি হাইজ্যাক করতে গিয়ে শিলচর বিমানবন্দরের কাছাকাছি এলাকায় ধরা পড়ল দুই যুবক । এরা পার্ক রোড থেকে গাড়ি ভাড়া নিয়েছিল বিমানবন্দরে নামিয়ে দেবে বলে। কিন্তু বিমানবন্দরে গিয়ে না নেমে এরা গাড়ি ঘুরিয়ে নিতে বলে। পরে পিস্তল দেখিয়ে তাদের নির্দেশমত গাড়ি চালাতে বলে। চালক কাজল হোসেন লস্কর বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে গাড়িটি এক বাড়ির রাস্তায় ঢুকিয়ে দেন। পরে গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে প্রাণ বাঁচান। যুবকদের একজন পেছনের আসন থেকে চালকের আসনে এসে বসে। কিন্তু ব্যাকগিয়ার দিয়ে বেরোতে হচ্ছিল বলে সফল হতে পারেনি। কাজল তখন চেঁচামেচি করে গিয়ে গাড়ির চাবিটি কেড়ে নেন। অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে যুবকদ্বয় গাড়ি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ততক্ষণে গ্রামবাসী ছুটে আসায় এদের ধরে ফেলে। পরে তাদের পুলিশে দেওয়া হয়।

কাছাড়ের পুলিশ সুপার রমনদীপ কৌর জানান, ধৃতরা দুই ভাই। বিমানবন্দরের জন্য গাড়ি ভাড়া নিলেও তাদের কাছে কোনও বিমানের টিকিট ছিল না। বরং মিলেছে  এয়ার গান, স্প্রে গান সহ চারটি পিস্তল। চার রাউন্ড কার্তুজ, ছুরি, টর্চ এবং ব্যাটারিও পাওয়া গিয়েছে তাদের কাছে। কৌর জানান, তদন্ত চলছে, তাদের সঙ্গে আরও দুষ্কৃতী জড়িত থাকলে কেউ রেহাই পাবে না।

কাজল জানিয়েছেন, আজ সকালে শিলচরের পার্ক রোডে আসে দুই যুবক। বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য গাড়ি নেয়। আটশো টাকায় ভাড়া চূড়ান্ত হয়। বিমানবন্দরে পৌঁছে না নেমে এরা গাড়ি ঘোরাতে বলে। তখনই তার সন্দেহ হয়। ফিরে যাচ্ছে কেন, জানতে চাইলে জবাব মেলে না। কিছুক্ষণ পরে প্রায় নির্জন জায়গায় চালককে বলে, চারদিনের জন্য তারা গাড়িটি ভাড়া নিতে চায়। কাজল সঙ্গে না থাকলেও হবে, এরাই চালাতে জানে। কাজকর্ম সেরে চারদিন পরে নির্দিষ্ট জায়গায় গাড়িটি ফিরিয়ে দেবে। সে জন্য তারা পঞ্চাশ হাজার টাকা ভাড়া দিতে চায়। পুরো টাকা অগ্রিম দিতেও রাজি।
কাজলের বুঝতে বাকি নেই। তিনি এককথায় সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তাদের ভাড়া মিটিয়ে নেমে যেতে বলেন। তখনই এক যুবক পিস্তল ধরে হুমকি দেয়, কথা না বাড়িয়ে তাদের কথামতো এগোনোর জন্য।

পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম বিক্রমজিত সিনহা ও বিক্রাঞ্জিত সিনহা। নিজেদের হাফলঙের বাসিন্দা বললেও ঠিকানা নিয়ে পুলিশের সন্দেহ রয়েছে। কারণ তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্সে লেখা, বাড়ি গুয়াহাটিতে। পুলিশ সুপার রমনদীপ কৌরের কৌরের কথায়, তদন্তেই সব বেরিয়ে আসবে। তাদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। বলেন, সবাইকে গ্রেফতার করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker