Barak UpdatesHappeningsBreaking News
শিক্ষা বৈঠকে ব্রাত্য বাঙালি ও বরাক, ক্ষুব্ধ বিডিএফ যুবফ্রন্ট
ওয়েটুবরাক, ১ সেপ্টেম্বর : গত ৩০ আগস্ট গুয়াহাটির কাহিলিপাড়ায় রাজ্যের শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী রণোজ পেগুর পৌরোহিত্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আসু সহ ৩৪টি সংগঠনকে এই বৈঠকে যোগ দেবার আমন্ত্রণ জানালেও ডাক পাননি বাঙালি বা বরাকের প্রতিনিধিত্বকারী কোনও সংগঠন। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করল বরাক ডেমোক্রেটিক যুব ফ্রন্ট।
এক প্রেসবার্তায় যুব ফ্রন্টের নেতা কল্পার্ণব গুপ্ত বলেন, যারা সরকারি তরফে এই বৈঠকে ডাক পেয়েছেন এদের প্রায় সবকটি ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা বা পাহাড়ি জেলার সংগঠন। এমন একটিও জাতি-জনজাতি সংস্থা নেই, যারা এই বৈঠকে আমন্ত্রণ পাননি। শুধু বাদ গেল বাঙালি ও বরাক উপত্যকার সংগঠন। তিনি বলেন, সরকার যে শুধু ভোটব্যাঙ্ক ছাড়া এই রাজ্যের বাঙালিদের মানুষ বলেই ভাবেন না, এটাই বড় প্রমাণ৷ নইলে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর সঙ্গে এই আচরণ হতে পারে না। তাঁর আক্ষেপ, এ সবের পরও বাঙালিদের একাংশ শাসকদলের তৈলমর্দন করে চলেছেন।
কল্পার্ণব আরও বলেন, এর আগেও বহুবার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বাঙালি তথা বরাকের প্রতিনিধিদের ডাকা হয়নি, যা নিয়ে বরাক উপত্যকা থেকে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন প্রতিবাদ জানায় এবং তখন খোদ শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে এই ব্যাপারটির যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তা তিনি দেখবেন। সাম্প্রতিক বৈঠকের পর বোঝা গেল, এই ব্যাপারটি কোনও একজনের সিদ্ধান্ত নয় ,এটি গোটা সরকারের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত। তাই তাঁর কিছু করার ক্ষমতা নেই। তিনি বলেন, দিসপুরে যে সরকারই আসুক না কেন, তাদের উগ্র জাতীয়তাবাদী এজেন্ডা যে বদলায় না, এ তারই জ্বলন্ত প্রমাণ।
ফ্রন্টের আরও দুই আহ্বায়ক ইকবাল নাসিম চৌধুরী ও দেবরাজ দাশগুপ্ত বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তে এটাই প্রমাণিত, বরাকের ছাত্রছাত্রীদের কোনও মতামত থাকতে নেই। তাঁরা বলেন, এর আগেও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবার ব্যাপারেও বরাকের কাউকে ডাকা হয়নি। এসব দেখেশুনে মনে হয়, সরকার বরাককে আসামের অঙ্গ বলে মনেই করেন না। তাদের বক্তব্য, যদি তাই হয়, তবে এভাবে অপমান করার চেয়ে বরাককে আসাম থেকে পৃথক করে দেওয়াই যুক্তিযুক্ত।