India & World UpdatesAnalyticsBreaking News
কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বাসবরাজ বোম্মাই
২৭ জুলাই : ইয়েদুরাপ্পার ইস্তফার পর থেকেই কর্নাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী পদে কে আসবেন তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে জাতীয় রাজনীতিতে। এর আগে একাধিক নামকে কেন্দ্র করে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। তবে সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নামে সিলমোহর দিয়েছে সব পক্ষ। বুধবার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন বোম্মাই। তিনি এতদিন কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকা পালন করে এসেছেন।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কর্নাটক বিজেপি পরিষদীয় দলের একটি বৈঠকের পরই বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নামে সিলমোহর দেয় দল। কর্নাটকের বর্তমান কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পারও ইচ্ছা ছিল বোম্মাই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হন। কিছুটা তাঁর ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়েই বাসবরাজের নাম চূড়ান্ত করা হয়। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ছাড়াও আইন এবং পরিষদীয় মন্ত্রীর ভূমিকা পালন করে এসেছেন তিনি। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুর ঠিক ৩টে বেজে ২০ মিনিটে কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বোম্মাই শপথ নেবেন।
১৯৬০ সালের ২৮ জানুয়ারি লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের ঘরে জন্ম নেন বাসবরাজ বোম্মাই। রাজ্যের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার অত্যন্ত ঘনিষ্ট হিসেবেই কর্নাটকের রাজনীতিতে তিনি পরিচিত। আদ্যোপান্ত রাজনৈতিক ঘরানার থেকে উঠে আসা বাসবরাজের বাবা সোমাপ্পা রায়াপ্পা বোম্মাইও কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮৮ সালের ১৩ আগস্ট থেকে ১৯৮৯ সালের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা পালন করেন তিনি। রাজনৈতিক জীবনের গোড়া থেকে যদিও দক্ষিণপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না বাসবরাজ। জেডিইউ থেকে তিনি নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেন। জেডিইউ-র টিকিটে ১৯৯৮ এবং ২০০৪ সালে পরপর দু’বার বিধায়কও নির্বাচিত হন তিনি।
কিন্তু তাঁর রাজনীতির গ্রাফ সেভাবে উর্ধ্বমুখী না হওয়ায় ২০০৮ সালে জেডিইউ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক নির্বাচন এসেছে, এবং জয়লাভ করে গিয়েছেন বোম্মাই। ২০০৮ সালেই প্রথমবার রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয় তাঁকে। দ্বিতীয়বার মন্ত্রিত্বের সুযোগ মেলে ২০১৯ সালে কর্নাটকে বিজেপি সরকার গঠন হওয়ার পর। প্রথমে সমবায় মন্ত্রী, এরপর আইন ও পরিষদীয় মন্ত্রী, এবং শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব পান বোম্মাই। আর দ্বিতীয়বার মন্ত্রী হওয়ার ঠিক দু’বছরের মাথাতেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের আসনে অধিষ্ঠিত হতে চলেছেন তিনি।