Barak UpdatesHappeningsBreaking News
করোনায় পরাস্ত, বাঁচানো গেল না জয়াস-এর কর্ণধার অশোক দাসকে
দুইবার গ্রিন করিডর গড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চেন্নাই
ওয়েটুবরাক, ১০ জুলাইঃ গ্রিন করিডর গড়ে দুইবার তাকে হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ২৮ জুলাই প্রাকৃতিক দুর্যোগের দরুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ওড়েনি। ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। পরদিন ফের গ্রিন করিডরে নিয়ে যাওয়া হয় শিলচর বিমানবন্দরে। পরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে চেন্নাইয়ে। সেখানকার অ্যাপলো হাসপাতালে তাঁর চিকিতসা চলে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। জয়াস হোটেল এবং রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী অশোককুমার দাস বৃহস্পতিবার রাত আটটায় সেখানেই প্রয়াত হন।
অশোকবাবু শুধু একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী নন, তিনি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং অখণ্ডমণ্ডলীর সেবকও। অসহায় মানুষদের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াতেন, সাহায্য সহযোগিতা করতেন। শিলচর চেংকুড়ি রোডের বাসিন্দা অশোকবাবু রেখে গিয়েছেন স্ত্রী-পুত্র-কন্যা সহ অসংখ্য পরিজনদের। বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
গত ২৬ জুন তিনি শ্বাসকষ্ট বোধ করলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শিলচরের জীবনজ্যোতি হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষায় ধরা পডে পড়ে, তিনি কোভিডে আক্রান্ত। আড়াই দশক আগে তাঁর কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়েছিল। কোভিড সেখানে না আক্রমণ করে বসে, সে কথা ভেবে দ্রুত তাঁকে চেন্নাইর অ্যাপলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। দুইদিনে ওই হাসপাতালে যোগাযোগ, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এবং গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করতে সমর্থ হলেও ২৮ জুলাই বৃষ্টির দরুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্স উড়তে পারেনি। এ বার শিলচরে রাখা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। তাঁকে নিয়ে বেরিয়ে আসতেই জীবনজ্যোতি হাসপাতালের আইসিইউতে অন্য রোগী ভর্তি হয়ে যায়। আইসিইইউ-তে আর কোনও শয্যা ফাঁকা নেই। পরে গ্রিনহিলসে সে রাত রাখা হয়। পরদিন অবশ্য নির্বিঘ্নেই তাঁকে চেন্নাই উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
তাঁর প্রয়াণে শিলচরের ব্যবসায়ী মহল এবং অখণ্ডমণ্ডলীর সেবকদের মধ্যে শোকের ছায়া ছড়িয়ে পড়ে। শোক জানান শিলচরের চেংকুড়ি রোড থেকে কালাইনের টিকরবুরুঙ্গা গ্রাম পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ।