Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ছাত্রাবাস চলছে, কড়া সতর্ক রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ
২৩ ডিসেম্বর: ১ নভেম্বর থেকে শিলচর রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমের ছাত্রাবাস খুলেছে৷ প্রথমে নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্ররা আসে৷ ১ ডিসেম্বর থেকে রয়েছে বাকিরাও৷ মিশনের ভরসাতেই দক্ষিণ আসামের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে শিলচরে পড়াশোনা করতে এসেছে জনজাতি সম্প্রদায়ের ৬৮ ছাত্র৷ তাদের খাওয়া-পরার দায়িত্ব মিশনেরই৷ এখন নতুন দায়িত্ব চেপেছে তাদের করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচিয়ে রাখার৷ তাতে অবশ্য চেষ্টার ত্রুটি নেই মিশন কর্তৃপক্ষের৷ স্বামী বৈকুন্ঠানন্দ মহারাজ জানান, এরা শহরের বিভিন্ন স্কুলে পড়ে৷ ঠিক সময়ে লাইন ধরে স্কুলের উদ্দেশে রওয়ানা হয়৷ আবার স্কুল শেষে এসে ছাত্রাবাসে ঢোকে৷ সন্ধ্যায় সারি বেঁধে সবাই মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনায় সামিল হয়৷ প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের করোনা বিধি মেনে চলতে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ সবাইকে মাস্ক পরিয়ে স্কুলে পাঠান তাঁরা৷ ফেরার পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় বিশেষ গুরুত্ব দেন৷ প্রার্থনা সভায় তাদের সঙ্গে অন্যরাও এসে বসেন৷ তাই বাড়তি সতর্কতা৷ আবাসিক পড়ুয়াদের প্রথমে স্টেরিলাইজেশন মেশিনের সামনে দাঁড়াতে হয়৷ রোটারি ক্লাবের দেওয়া দুটি মেশিন কাজ করতে থাকে তখন৷ স্টেরিলাইজড হয়ে তারা এগোয় প্রার্থনা সভার দিকে৷ ভেতরে চলতে থাকে শাইকোকেন৷ বলা হয়, শাইকোকেন চললে ওই এলাকায় করোনা ভাইরাস ঢুকতে পারে না৷
১৯৩৮ সালে শিলচর রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমের ছাত্রাবাস চালু হয়৷ তখন ছাত্রসংখ্যা আজকের মত ছিল না৷ কিন্তু সব নিয়মনীতি তখনই স্থির হয়ে যায়৷ ছাত্ররা স্কুলে যাবে বটে, কিন্তু পড়া তৈরির দায়িত্ব নিতে হবে মিশনকে৷ এই সময়ে ছয়জন শিক্ষক স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে সন্ধ্যায় ছাত্রদের পড়ান৷ সে জন্য ছাত্রাবাসেই রয়েছে পৃথক রিডিং রুম৷ সেখানেও শাইকোকেন বসানো হয়েছে৷
বৈকুণ্ঠানন্দ মহারাজ বলেন, “রিয়াং, চাকমা, খাসি, চরাই, ত্রিপুরি, বর্মণ প্রভৃতি জনজাতি ছাত্ররা খুব ভাল পরিবেশ থেকে আসে৷ তাই তাদের সুস্থ রাখার জন্য আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই৷”