Barak UpdatesHappenings
স্কুটি বিতরণ অনুষ্ঠানে মারিয়া তানিমকেই সরকারের মডেল করলেন পরিমল787 meritorious girl students given scooties in Cachar
কাছাড়ে ৭৮৭ ছাত্রীকে পুরস্কার
৩ জানুয়ারি: এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মারিয়া তানিমকে ছাত্রীদের কাছে মডেল হিসেবে তুলে ধরলেন রাজ্যের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য৷ তাঁকে উদাহরণ হিসাবে দাঁড় করিয়ে সরকারের দুর্নীতিমুক্ত ও ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র তুলে ধরেন৷
রবিবার শিলচর মহিলা কলেজে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২০২০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণদের মধ্যে স্কুটি বিতরণ করা হয়। পরিমলবাবু ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন৷ ম্যাজিস্ট্রেট মারিয়া তানিমকে তিনি মঞ্চে ডেকে বসান৷ মারিয়াই ২০১৯ সালের এসিএস পরীক্ষায় শীর্ষস্থান দখল করেন৷ পরিমলবাবু বলেন, সরকার দুর্নীতি করলে তাঁর মত বরাক উপত্যকার মহিলা এসিএসে প্রথম হতেন না৷ তাঁর শীর্ষস্থান লাভ ও নিযুক্তিই ধর্মনিরপেক্ষতার উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেন৷ এ দিনের অনুষ্ঠানে বিধায়ক দিলীপ কুমার পাল, মিহিরকান্তি সোম, কিশোর নাথ এবং অমরচাঁদ জৈনও উপস্থিত ছিলেন।
At Women's College in Silchar today,787 girl students received scooties under "Dr. Bani Kanta Kakati Merit Award-2020". Glad to have attended this ceremonial event along with Hon'ble MLAs Shri Mihir Kanti Shome, Shri Amar Chand Jain, Shri Kishore Nath & Shri Dilip Kumar Paul pic.twitter.com/UxjnNnxaM9
— Parimal Suklabaidya (@ParimalSuklaba1) January 3, 2021
মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ও স্বাস্থ্য-শিক্ষামন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে শিক্ষার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। মন্ত্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেরও হেলমেট পরতে এবং সড়ক নিরাপত্তা অনুসরণ করতে বলেন।
উল্লেখ্য, কাছাড় জেলায় ৭৮৭ জন ছাত্রী স্কুটি-পুরষ্কার পাচ্ছে। গত ২০ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কামরূপ জেলার আমিনগাঁওয়ে একটি প্রোগ্রামে এই ফ্ল্যাগশিপ স্কিমটি চালু করেন৷ প্রজ্ঞান ভারতীর এই প্রকল্পে ২২ হাজার ২৪৫জন ছাত্রীকে স্কুটি দেওয়া হচ্ছে৷ সেজন্য ১৪৪ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয় হচ্ছে।
সভায় দিলীপ কুমার পাল বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে৷ তিনি মহিলা শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম বলে তুলে ধরেন। দিলীপবাবু সরকারের শিক্ষা সংক্রান্ত নানা প্রকল্পের উল্লেখ করেন৷
শিলচর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মনোজ কুমার পাল এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন এবং ডঃ বাণীকান্ত মেধা পুরস্কারের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন৷ অতিরিক্ত জেলাশাসক রাজীব রায় এবং কাছাড় জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক সেমিনা ইয়াসমিন আরা রহমানও বক্তব্য রাখেন এ দিন।