Barak UpdatesHappeningsBreaking News

আন্দোলনকে দোষারোপ করায় উপাচার্য অপসারণে আন্দোলনেরই পরামর্শ দত্তরায়ের
University in doldrums! Dutta Roy demands removal of Vice Chancellor

১২ জুন: বরাক উপত্যকায় কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ১০ বছর ছাত্র আন্দোলন হয়েছিল। বরাক উপত্যকার সর্বস্তরের মানুষ একজোট হয়ে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন৷ সবার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় বরাক উপত্যকাকে রাস্তা দেখাবে, নতুন আলোর দিগন্ত দেখাবে। কিন্তু আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান যে অবস্থা, তাতে স্তম্ভিত আকসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তথা গৌহাটি হাইকোর্টের আইনজীবী প্রদীপ দত্তরায়৷

কেন্দ্রীয় সরকার যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে প্রথম ১০০-র তালিকায় নেই আসাম বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৬ সালে প্রথম যে তালিকা প্রকাশ হয়েছিল তাতে ৭৭ নম্বরে ছিল এই  কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। পরের বছর ৯২ নম্বরে। এর পরের বছর সামান্য উন্নতি হয়৷ ৮৭ তে আসে বিশ্ববিদ্যালয় । গতবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠাঁই হলো ৯৭ নম্বরে। আর এই বছর ১০০ মধ্যেই নেই। অথচ তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয় ৩৬ নম্বরে। এই বিশ্ববিদ্যালয় আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রীতিমতো জেদ করে স্থাপন হয়েছিল৷

আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন চরম অবস্থা কেন তা খুঁজে বের করার দাবি জানান প্রদীপবাবু । তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের কথা, বরাক উপত্যকার স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।

উপাচার্য দিলীপচন্দ্র নাথ এই অবস্থার জন্য ছাত্র আন্দোলনের নামে অশান্তি সৃষ্টিকে দায়ী করলেও প্রদীপ দত্তরায়ের অভিযোগ, উপাচার্য থেকে শুরু করে সবাই দুর্নীতিতে জড়িত । এরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সম্পূর্ণ অক্ষম৷ দিলীপবাবুকে একজন  অযোগ্য ব্যক্তি বলতেও ছাড়েননি তিনি৷ অবিলম্বে তাঁর অপসারণ দাবি করেন আকসা-র এককালের সুপ্রিমো৷ বলেন, রাজনৈতিক প্রভাবে এই উপাচার্য পদ পেয়েছেন তিনি । তাকে যতক্ষণ পর্যন্ত সরানো হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও উন্নতি হবে না ।

গতকাল উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেছেন, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আন্দোলনের জন্য কাজ করা যায়নি বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেংকিং এত নেমেছে । এটা অত্যন্ত অবাস্তব কথা। যেখানে দিল্লি ইউনিভার্সিটি’তে এত আন্দোলন হচ্ছে । আন্দোলনের জন্য যাদবপুর , দিল্লি , জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের রেংকিং তো নামে নি । সুতরাং উপাচার্য ছাত্রদের উপর দোষ দিলে হবে না । দত্তরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের কাছে ফের আন্দোলনে আহ্বান জানান৷ দাবি করেন, আসাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ এবং আকসার নেতৃত্বে পুনরায় এই বিশ্ববিদ্যালয় রক্ষার জন্য নতুন করে আন্দোলন শুরু হোক ।

তাঁর কথায়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবনতির কারণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হয়েছে তার ইতিহাস জানে না বর্তমান প্রজন্ম । ছাত্ররা যদি ইতিহাস জানতো তাহলে এই অবস্থা হতো না এই বিশ্ববিদ্যালযয়ের ।তৎকালীন উপাচার্য সুভাষ সাহা বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনের ইতিহাসে একটি বই প্রকাশের অনুমতি দিয়েছিলেন । আজ পর্যন্ত তা প্রকাশ করতে পারিনি বিশ্ববিদ্যালয় । আমি জেনেছি অনেক কর্মচারী শিক্ষকরাও সঠিকভাবে কাজ করছেন না । তার জন্য দায়ী উপাচার্য । আর ব্যর্থতার জন্যই ছাত্রদের মধ্যে আন্দোলন হচ্ছে কর্মচারীরা ও সহযোগিতা করছেন , অধ্যাপকরা ঠিকমত পড়াচ্ছেন না । তার জন্য আমাদের সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে ।

Also Read: Students will suffer due to the whims of the exam branch of Assam Univ, ACTA in anguish……বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা বিভাগের খামখেয়ালিতে ভুগবে ছাত্ররা, উদ্বেগে এসিটিএ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker