Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বিশ্ববিদ্যালয়ে শৈক্ষিক ভ্রমণে জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা
ওয়ে টু বরাক, ৭ জানুয়ারি : কেন্দ্রীয় শিক্ষা সংগঠনের ছাত্রীদের বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কেন্দ্র সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ‘বিজ্ঞান জ্যোতি’ নামক একটি কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। শিলচরের আসাম বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র সরকার কাছাড় জেলার নবোদয় বিদ্যালয়ের ‘নলেজ পার্টনার’ হিসেবে সুপারিশ করেছে।
এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পয়লাপুলের জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পঞ্চাশজন ছাত্রছাত্রী গত ৬ জানুয়ারি (শুক্রবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগগুলি পরিদর্শন করে। এই কার্যক্রম সুচারুভাবে পরিচালনা করার দায়িত্বে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর তথা পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হিমাদ্রি শেখর দাস। ছাত্রীরা পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, জীবন বিদ্যা বিভাগ, বায়োটেকনোলজি বিভাগ, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, রসায়ন বিভাগ, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ এবং গণিত বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে মত বিনিময় করা ছাড়াও বিভাগগুলির ল্যাবরেটরি এবং লাইব্রেরি পরিদর্শন করে।
বিকেলে ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার মিউজিয়াম পরিদর্শন করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রাজীব মোহন পন্থের সঙ্গে মত বিনিময় করে। উপাচার্য ছাত্রীদের আগামীতে বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করে কীভাবে নিজের কেরিয়ার তৈরি করা যায় এ নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
সন্ধ্যাবেলা পদার্থবিদ্যা বিভাগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক বি ইন্দ্রজিৎ শর্মা, ড. উৎপল সরকার, ড. প্রদীপ কুমার শুক্লা, স্বর্ণদ্বীপ বিশ্বাস, ড. মহানন্দ বরো, ড. হিমাদ্রি শেখর দাস এবং জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল আব্দুল আজিজ এবং শিক্ষক বাবজী কুরুমোজু। ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ড. প্রদীপ কুমার শুক্লা স্লাইড প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া বিভাগের গবেষক গুলাফসা বেগম চৌধুরী, ভাস্কর গোস্বামী এবং বিকি প্রসাদ স্লাইডে প্রেজেন্টেশন করেন। এরপর আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোনমি ক্লাবের তরফ থেকে টেলিস্কোপের সাহায্যে রাত্রিকালীন পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এতে নবোদয় বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যোগদান করে। ক্লাবের সমন্বয়ক ড. হিমাদ্রি শেখর দাসের তত্বাবধানে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে পর্যবেক্ষণ চলে।
এই অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য বিভাগের শিক্ষক শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মচারী ছাড়াও গবেষক বুরহান আহমেদ, নিখিল পরাশর, সাবিনা ইয়াসমিন, আশিক জামান, রানচাই গিরি ব্রহ্ম, কৃষ্ণ সরকার প্রমুখ ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।