Barak UpdatesHappeningsBreaking News
অভিযুক্ত চার ছাত্রকে থানায় নিয়ে গেল পুলিশ, বৃহস্পতিবার থেকে শিক্ষক ধর্না4 students alleged to have assaulted teachers taken by police, teachers to sit for dharna from 22 Sept
ওয়েটুবরাক, ২১ সেপ্টেম্বরঃ শিক্ষক নিগ্রহে অভিযুক্ত ছাত্রদের থানায় নিয়ে গেল পুলিশ৷ শিক্ষকদের এজাহারের ভিত্তিতে দুই ছাত্রী সহ মোট নয়জনকে কলেজ চত্বরেই আটকে রাখা হয়েছিল৷ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে রাত সাতটা নাগাদ তাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ দুই ছাত্রীকে অবশ্য শুরুতেই বাড়ি যেতে দেওয়া হয়৷ বাকি সাতজনের মধ্যে তিনজনকেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ শেষপর্যন্ত চারজনকে নিয়ে যায় পুলিশ৷ তাদের মধ্যে মুখ্য অভিযুক্ত নীতীশ তিওয়ারি এবং রাহুল কানুও রয়েছে৷
এ দিকে, এসিটিএ-র কাছাড় কলেজ ইউনিট আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ধরনায় বসার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে৷ এই সময়ে কলেজে স্নাতক পর্যায়ের পরীক্ষা চলছে৷ শিক্ষকরা জানিয়ে দিয়েছেন, পরীক্ষায় বিঘ্ন ঘটার পক্ষপাতী তাঁরা নন৷ তাই পরীক্ষা যথারীতি চলবে৷
এসিটিএ-র কেন্দ্রীয় কমিটি এবং জোনাল কমিটিও এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে৷ জোনাল কমিটি বৃহস্পতিবার সমস্ত কলেজে কালো ব্যাজ পরিধান করবেন৷ ছাত্র নামধারী দুষ্কৃতীদের হামলার প্রতিবাদের সঙ্গে তাঁরা কাছাড় কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থশংকর নাথের ভূমিকায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ বলেন, অধ্যক্ষের সামনে তাঁর সহকর্মীদের শারীরিক নিগ্রহ করা হল৷ তিনি আশ্চর্যজনক ভাবে নীরব রইলেন৷
এসিটিএ-র কেন্দ্রীয় কমিটিতে কাছাড় জোন প্রতিনিধি সুদর্শন গুপ্ত জানিয়েছেন, তিনি বুধবার বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবগত করান৷ এর পরই কেন্দ্রীয় কমিটি উচ্চ শিক্ষা সঞ্চালকের সঙ্গে সাক্ষাত করার সিদ্ধান্ত নেয়৷ বৃহস্পতিবার সভাপতি হিমাংশু মরালের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলে গুপ্ত নিজেও থাকবেন বলে জানিয়েছেন৷
ওদিকে, ছাত্ররা যে শিক্ষকদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছে, তা স্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থশংকর নাথও৷ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “বিকাল চারটার দিকে আমাদের কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকারা একটি মেমোরেন্ডাম নিয়ে আমার কাছে এসেছিলেন৷ সেই মেমোরেন্ডাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল৷ আমিও শুনছিলাম৷ হঠাত বাইরে একটা হুলুস্থুল পরিস্থিতির তৈরি হয়৷ আমি সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা সবাই বাইরে গেলাম৷ গিয়ে দেখি, ছাত্র-শিক্ষক সংঘাতের মতো একটা কিছু৷ সবাই মিলে আমরা তাদের বিরত করার চেষ্টা করেছি৷ আমি নিজেও গিয়েছি৷ বলেছি, আমরা সবাই শিক্ষক৷ শিক্ষকদের সঙ্গে এই ভাবে আচরণ করতে নেই৷ তোমরা শান্ত হও৷ তোমরা কী করছো, নিজে একবার ভাবো৷তোমরা এ ভাবে করবে না৷ এ ভাবে করা উচিত নয়৷তোমরা বন্ধ করো এগুলি৷ তোমরা শান্ত হও৷ কলেজের মান-সম্মানটা রক্ষা করো৷”