Barak UpdatesHappenings
১৯ মেঃ স্টেশন চত্বরে থাকছে না মঞ্চ, দূরত্ব বজায় রেখে শ্রদ্ধাঞ্জলি
১৪ মেঃ তিনদিন ধরে স্টেশনচত্বরে বিশাল মঞ্চে নানা অনুষ্ঠান, চারদিকে মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে, সে দৃশ্য এ বার আর উনিশে মে-তে দেখা যাবে না। ভাষাশহিদ স্টেশন শহিদ স্মরণ সমিতি সে দিন ভাষাশহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর কিছু অনুষ্ঠান রেখেছে বটে। তাতে সকলের উপস্থিতি কামনার বদলে স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওইসব কর্মসূচি হবে জনসমাগম ছাড়া। নিয়মরক্ষায় যেটুকু করা হবে, সবই হবে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে, মাস্ক পরে এবং যাবতীয় নির্দেশিকা মান্য করে।
তাঁদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ১৮ মে ওই প্রাঙ্গণ সম্পূর্ণ স্যানিটেশন করা হবে। ফুল ও আলোয় শহিদ বেদী সাজিয়ে তুলবেন। সোশ্যাল ডিসট্যান্স বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলার জন্য এক মিটার দূরত্ব বজায় রেখে আলপনা আঁকা হবে। ১৯ মে প্রথাগত ভাবেই সকাল সাড়ে ৬টায় শহিদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হবে। জনাকয়েক শিল্পী সমস্ত করোনা-নির্দেশিকা মেনে খালি গলায় গাইবেন, ডাকে ওই একাদশ শহিদেরা ভাই। তখনই হবে বর্ণমালার রোদ্দুরের ই-সংস্করণ প্রকাশ। মু্দ্রিত সংস্করণ এ বার প্রকাশিত হচ্ছে না। সকাল সাড়ে ৮টায় সভাপতি ও কয়েকজন মিলে শিলচর শ্মশানঘাটে গিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করবেন। দুপুর ২টা ৩৫মিনিটে গান্ধীবাগের কর্মসূচিতেও কয়েকজন গিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। সকাল ১০টায় হবে রক্তদান শিবির।
ভাষাশহিদ স্টেশন শহিদ স্মরণ সমিতির সভাপতি বাবুল হোড় ও সাধারণ সম্পাদক ডা. রাজীব কর লকডাউন মেনে দুটো কাজের মাধ্যমে ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আর্জি জানান। প্রথমত, বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে ৫ মিনিটের জন্য নিজেদের যানবাহন চালানো বন্ধ রাখা। দ্বিতীয়ত, সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে একাদশ প্রদীপ জ্বালানো। তাঁরা আশাবাদী, শীঘ্র সঙ্কট কাটবে। ২০২১-এ উনিশে মে-তে দল বেঁধে বেরিয়ে সবাই শহিদদের শ্রদ্ধা জানাবেন।