NE UpdatesHappeningsBreaking News

ঘুরে ঘুরে শান্তি ফেরানোর দাবিই করে গেলেন অমিত শাহ

ওয়েটুবরাক, ১৭ মার্চঃ তিন নতুন ফৌজদারি আইন ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’, ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ এবং ‘ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম’ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে কতটা কার্যকর হয়েছে, এর হিসেব নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গুয়াহাটিতে আয়োজিত বৈঠকে সাত মুখ্যমন্ত্রী একে একে নিজের রাজ্যের রিপোর্ট পেশ করেন। মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসনের দরুন মুখ্যমন্ত্রী না থাকায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল অজয়কুমার ভাল্লা। ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ প্রধানরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন মোহন প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন। বক্তৃতা করেন ব্যুরো অব পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ডিরেক্টর রাজীবকুমার শর্মা। বৈঠকে আসাম সিআইডি প্রণীত নিউ ক্রিমিনাল ল’জঃ স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রিসিডিউরস অ্যান্ড রুলস নামে একটি গ্রন্থের প্রকাশ করেন অমিত শাহ।

“দিল্লির হোটেলে অসমের কোকরাঝাড়ের মাশরুম রান্না হয়। সে স্বাদ জিভে নিয়েই দেশ-বিদেশের মানুষ এখন নতুন বড়োল্যান্ডের কথা জানতে পারেন।” রবিবার দোতমায় অল বড়ো স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আবসু)-র বার্ষিক অধিবেশনে প্রধান অতিথির ভাষণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বড়োচুক্তির সাফল্য নিয়ে এ ভাবেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বড়ো জঙ্গিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে আবসু নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। শাহ বলেন, ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি ওই চুক্তি সম্পাদনের সময় কংগ্রেস মজা-স্ফূর্তি করছিল। কিন্তু আজ এর শর্তসমূহের ৮২ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ সহযোগে তা একশো শতাংশ সম্পূর্ণ হবে। দিল্লিতে বড়োফা উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মের নামে রাস্তা উৎসর্গ করার যে কথা চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে, তা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই সম্পন্ন হবে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল রিজিয়নের মুখ্য কার্যবাহী সদস্য প্রমোদ বড়োকে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য মঞ্চ থেকেই আমন্ত্রণ জানান।

শাহের কথায়, বড়ো চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল বলেই আজ এখানে শান্তি বিরাজ করছে। আফস্পা প্রত্যাহৃত হয়েছে। আগে বড়োল্যান্ডে শুধু জঙ্গি উৎপাতের কথাই চর্চা হতো, এখন শিক্ষা-বিকাশ-উন্নয়নের আলোচনা হয়। তিনি বলেন, “দিল্লিতে বসে কোকরাঝাড়ের মাশরুমের স্বাদগ্রহণ সম্ভব হয় একমাত্র এখানে শান্তিস্থাপনের জন্যই। এরই সূত্র ধরে বড়োল্যান্ডে মাশরুম চাষ বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে।” শুধু কৃষি-শিল্প-বাণিজ্যই নয়, অমিত শাহ আশাবাদী, ২০৩৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠেয় আগামী অলিম্পিকে বড়ো খেলোয়াড়রা ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, বড়োল্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। হবে মেডিক্যাল কলেজও। ৩৫টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল রিজিয়নের মুখ্য কার্যবাহী সদস্য প্রমোদ বড়ো এবং আবসুর সভাপতি দীপেন বড়োও সভায় বক্তৃতা করেন। উপস্থিত ছিলেন অসম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারি, মন্ত্রী ইউজি ব্রহ্ম ও অতুল বরা প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker