Barak UpdatesHappeningsBreaking News
শিবালিক পার্ক, জিসি কলেজ রোড সহ কাছাড়ে আরও ১৭ জন পজিটিভ17 more +ve in Cachar on Tuesday from Shivalik Park, GC College Road & quarantine centres
৩০ জুনঃ কাছাড় জেলায় মঙ্গলবার মোট ১৭ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে ৯জনই সেনা জওয়ান। তাঁদের মাসিমপুর সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২৩ বছর বয়সী রাম কুমার ভি হলেন বিমানবাহিনীর জওয়ান। তিনি কুম্ভীরগ্রামের কোয়রান্টাইন সেন্টারে ছিলেন৷ এ দিন পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর কুম্ভীরগ্রাম থেকে তাঁকেও মাসিমপুর সেনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাকি ৭ জন হলেন শিবালিক পার্কের ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা পূর্ণিমা বিশ্বাস, দুর্গাপল্লীর ২৯ বছর বয়সী চন্দ্রশেখর অধিকারী, জিসি কলেজ রোডে আরতি অ্যাপার্টমেন্টের ২৮ বছর বয়সী অভিরূপ শর্মা পাঠক, বিন্নাকান্দি দ্বিতীয় খণ্ডের ৪০ বছর বয়সী বিদ্যাধন সিংহ, রুকনি প্রথম খণ্ডের ২৩ বছর বয়সী আহাদ হোসেন, নতুন রামনগর চতুর্থ খণ্ডের ২১ বছর বয়সী জিয়াউর রহমান বড়ভুইয়া এবং কাটিগড়া লাঠিমারার ১৯ বছর বয়সী কলিমউদ্দিন।
শেষোক্ত তিনজনকেই শিলচরের হোটেলে কোয়রান্টাইন করা হয়েছিল৷ এনআইটি-তে কোয়রান্টাইন করা হয়েছিল বিদ্যাধনবাবুকে৷ দুর্গাপল্লীর চন্দ্রশেখরবাবু গাঁটের টাকা খরচ করে পছন্দের হোটেল বেছে নিয়েছিলেন৷ শুধু পূর্ণিমা বিশ্বাস ও অভিরূপ শর্মা পাঠককে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল৷ ফলে এ দিন আরও দুটি কন্টেনমেন্ট জোন বেড়ে গিয়েছে৷ জিসি কলেজের কাছে আরতি অ্যাপার্টমেন্টে চারতলার যে ইউনিটে পাঠকবাবু রয়েছেন, সেটি কন্টেনমেন্ট জোন বলে ঘোষণা করা হয়েছে৷ একইভাবে পূর্ণিমাদেবীর শিবালিক পার্ক, ৬ নং লেনস্থিত ৫ নং বাড়িটিকেও কন্টেনমেন্ট করা হয়েছে৷ শুধু তাঁরা স্বামী-স্ত্রী এই বাড়িতে থাকতেন বলে স্ত্রীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে সরকারি উদ্যোগেই বৃদ্ধ স্বামীকে হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
কাছাড় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মিডিয়া এক্সপার্ট সুমন চৌধুরী জানান, এ দিন আসলে এখানে মোট ১৮ জনের দেহে পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের বাড়ি হাইলাকান্দি জেলায়। সকলেরই ট্র্যাভেল হিস্ট্রি রয়েছে৷ বিমানে এসেছেন চেন্নাই, দিল্লি, গুয়াহাটি, কাশ্মীর থেকে৷
এদিকে সেনাবাহিনী, বিএসএফ, বিমানবাহিনীতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলায় জেলা প্রশাসন উদ্বেগে রয়েছে। সেনা-আধা সামরিক বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন তাঁরা। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টিকে দেখতে বলা হয়েছে তাঁদের। কারণ জওয়ানদের মধ্যে সংক্রমণ শুরু হলে মারাত্মক হারে তা বেড়ে চলে বলেই অন্যত্র দেখা গিয়েছে।