India & World UpdatesHappeningsSportsBreaking News
৪০১ করেও নাক কাটা গেল নিউজিল্যান্ডের, যাত্রাভঙ্গ হয়নি পাকেদের
ওয়েটুবরাক, ৪ নভেম্বরঃ ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে নিউজিল্যান্ডকে হারাল পাকিস্তান। এই হারের ফলে নিজেদের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা কঠিন করে ফেললেন কেন উইলিয়ামসনেরা।
বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় টসে জিতে প্রথমে বল নিয়েছিলেন পাক অধিনায়ক বাবর। কিন্তু প্রথম থেকেই দ্রুত রান তুলছিল নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দলে ফেরেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। ফলে উইল ইয়ংয়ের জায়গায় এই ম্যাচে ওপেন করতে নামেন রাচিন রবীন্দ্র। আরও এক বার নিজের প্রতিভা চেনালেন রাচিন। কনওয়ে ৩৫ রানে আউট হওয়ার পরে উইলিয়ামসনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। এই জুটিই দলকে বড় রানের পথে নিয়ে যায়।
চলতি বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় শতরান করেন রাচিন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে চলতি প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ রান তাঁরই। চোট সারিয়ে নেমে ভাল দেখাচ্ছিল উইলিয়ামসনকেও। সাবলীল ব্যাট করছিলেন তিনি। মাত্র ৫ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হয় উইলিয়ামসনের। রাচিন ১০৮ রান করে আউট হন।
নিউজিল্যান্ডের পরের দিকের ব্যাটারেরা রান তোলার গতি কমতে দেননি। মার্ক চ্যাপম্যান ২৭ বলে ৩৯ ও গ্লেন ফিলিপ্স ২৫ বলে ৪১ রান করেন। ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪০১ রানে শেষ করে নিউজিল্যান্ড।
৪০২ রানের পাহাড় টপকাতে গিয়ে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে চার রান করে ফিরে যান আব্দুল্লাহ শফিক। তবে এরপর শুরু হয় ফখর জামানের ব্যাটিং তাণ্ডব। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে মাত্র ৬৩ বলে নিজের সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ব্যাটার। অন্যপ্রান্তে ধীর লয়ে ব্যাট চালাচ্ছিলেন বাবর। এর মাঝে আবার বাগড়া দেয় বেরসিক বৃষ্টি।
২১.৩ ওভারে ১৬০ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় ফখর-বাবরকে। এর মাঝে সংশয় জাগে বৃষ্টির পর ব্যাটিংয়ের মোমেন্টাম নষ্ট না হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থামলে ইনিংসের ৯ ওভার কমে যায়। সেক্ষেত্রে লক্ষ্য নামে ৩৪২-এ। সমীকরণ দাঁড়ায় ২০.৩ ওভারে আরও ১৮২ রান করতে হবে পাকিস্তানকে।
বৃষ্টির পর ব্যাটে নেমেই বোল্টের ওভারের বাকি বলগুলো দেখেশুনে সামলান ফখর। এ সময় পাকিস্তানকে চেপে ধরার ইঙ্গিত দেয় নিউজিল্যান্ড। তবে পরের ওভার থেকেই স্বরূপে ফেরেন ফখর। এবার হাত খুলে খেলা শুরু করেন বাবরও। সেইসঙ্গে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এটি নিয়ে পাকিস্তানি ব্যাটার হিসেবে বিশ্বকাপে নিজের অষ্টম অর্ধশতক করেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। ৯টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস নিয়ে এ তালিকায় তার উপরে এখন কেবল জাভেদ মিয়াঁদাদ।
চার ওভার পর আবার নামে বৃষ্টি। তবে ২৫.৩ ওভারে পাকিস্তান ততক্ষণে ২০০ পার করেছে। বাবর ৬৩ বলে ৬৬ এবং ফখর ৮১ বলে ১২৬ রানে অপরাজিত; মেরেছেন ১১টি ছক্কা ও ৮টি চার।
শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আর না থামলে ম্যাচ শেষ করার ঘোষণা আসে। এতে ডিএলএস মেথডে ২১ রানের জয় পায় পাকিস্তান।