India & World UpdatesHappeningsBreaking News
ইমরান খান ৮ দিনের হেফাজতে, হিংসা-বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান
ওয়েটুবরাক, ১১ মে : প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারের পর উত্তাল পাকিস্তান। দেশজুড়ে হিংসা-বিক্ষোভ চলছে। ইমরানের সমর্থকরা পাকিস্তানের একাধিক জায়গায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, ভাঙচুর করছে। এদিকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকেও ধাক্কা খেয়েছেন ইমরান। ইমরানের গ্রেফতারি বহাল রেখেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। তাঁকে আটদিনের জন্য দুর্নীতি দমন শাখার হেফাজতে রাখা হয়েছে৷
দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ইমরানের দল পিটিআই। ব্যাপক বিক্ষোভ আর হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র পাকিস্তানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পাকিস্তানে মোবাইল ইন্টারনেটের পর এখন বন্ধ হয়ে গেছে টুইটার পরিষেবাও। পাকিস্তান টেলিকম কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে সারা দেশে মোবাইল ব্রডব্যান্ড আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক সহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলিও ব্লক করা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কয়েকটি মামলার শুনানির জন্য মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে পৌঁছেছিলেন। ইমরান খানের গাড়ি হাইকোর্টের ভেতরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে পাক আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরাও হাইকোর্টে প্রবেশ করে। ইমরান খান যখন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের ভিতরে তার বায়োমেট্রিক্স করছিলেন, তখন পাকিস্তানি সেনা রেঞ্জার্স কাচ ভেঙে রুমে ঢুকে তাঁকে গ্রেফতার করে। ইমরানের দল পিটিআই প্রাথমিকভাবে তাঁর গ্রেপ্তারকে ‘অপহরণ’ বলে ব্যাখ্যা করেছে।
ইমরান খানের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে তাঁর দল পিটিআই ইসলামাবাদ হাইকোর্টে পৌঁছেছিল এবং আদালতের কাছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তির দাবি করেছিল। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে সব কর্মকর্তাকে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে ডেকে পাঠান। তবে রাত সাড়ে ১০টায় আসা রায়ে কোনও স্বস্তি দেয়নি ইমরান খানকে।
প্রসঙ্গত, আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় প্রতারণার অভিযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এই পুরো বিতর্ক আল কাদির ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত। ইমরান খান, তার স্ত্রী বুশরা বিবি এবং তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জুলফিকার বুখারি এবং বাবর আওয়ান পঞ্জাবের ঝিলম জেলার সোহাওয়া তহসিলে ‘মানসম্মত শিক্ষা’ প্রদানের জন্য আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আল-কাদির প্রকল্প ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন। ওই দান করা জমির নথিতে কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ।