NE UpdatesIndia & World UpdatesHappenings
উত্তর-পূর্বের অনুন্নয়নের জন্য কংগ্রেসকেই দায়ী করলেন অমিত শাহ
ওয়েটুবরাক, ৯ অক্টোবরঃ উত্তর-পূর্ব ভারতের পিছিয়ে থাকার তিনটিই প্রধান কারণ। জঙ্গি সমস্যা, যাতায়াতের প্রতিকূলতা আর এই অঞ্চলের প্রতি পূর্বতন সরকারগুলির উদাসীনতা। প্রথম দুটি বিষয়ের চেয়ে তৃতীয়টিই গুরুত্ব পেয়েছে তাঁর প্রত্যেক সভায়। এ ভাবেই তিনি রবিবার চড়াসুরে কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন।
তাঁর দাবি, এতকাল নানা সংকটে ভোগার পরে এখন যে শান্তি ও প্রগতির পথে উত্তর-পূর্ব এগিয়ে চলেছে, সেই কৃতিত্বের অন্যতম দাবিদার নরেন্দ্র মোদি। উত্তর-পূর্ব পরিষদের সত্তর-তম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে শাহ বলেন, দশকের পর দশক ধরে দেশের এই অংশে জঙ্গি কার্যকলাপ লেগে ছিল। ছিল না রেল সংযোগ, বিমান যোগাযোগ বা ভালো রাস্তাঘাট। সে সময়কার প্রতিটি সরকার উত্তর-পূর্বের উন্নয়নের ব্যাপারে একেবারে উদাসীন ছিল। শাহের কথায়, এই অঞ্চলের প্রতি প্রথম নরেন্দ্র মোদিরই নজর পড়েছে। তাঁর নেতৃত্বেই গত আট বছর ধরে উত্তর-পূর্ব ভারতে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে। যোগাযোগের ক্ষেত্রেও প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে। সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে সকল অঞ্চলের সঙ্গে এখানেও কাজ চলছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন গোটা দেশ জেনে গিয়েছে, এই অঞ্চলের মানুষের ভাষা, সংস্কৃতি, রান্নাবান্না, পোশাক-পরিচ্ছদ দেশের ঐতিহ্য। এই অঞ্চলের স্বাতন্ত্র্য সুরক্ষায় মোদী সচেষ্ট হওয়ার পরেই দেশজুড়ে ওই ঐতিহ্যের কথা ছড়িয়ে পড়েছে। শা্হ জানান, মূল সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে সমাধানের দিকে এগোতে হয়। এই পথেই তাঁদের সরকার সাফল্যের সিড়ি চড়ছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আট বোনের অ়ঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের নর্থ ইস্টার্ন স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের পূর্ণ সদ্ব্যবহারের পরামর্শ দেন। বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ, পর্যটন, বনায়ন এবং কৃষিতে তাদের কাজে লাগানো যেতে পারে। সেজন্য প্রতি রাজ্যে একজন এই বিষয়ে নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে বলেন৷
অমিত শাহ বলেন, মোদীর সরকার সমস্ত ভাষার মর্যাদায় বিশ্বাসী। তাই নতুন শিক্ষানীতিতে মাতৃভাষায় শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীদের আর্থিক শৃঙ্খলারও সংক্ষিপ্ত পাঠ দেন।