Barak UpdatesHappeningsBreaking News
কাছাড়ে নষ্ট হয়ে গেল হাজার ডোজ করোনা টিকা, তদন্তের নির্দেশ
১৯ জানুয়ারিঃ শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইস লাইনড রেফ্রিরেজারেটরে (আইএলআর) রাখা হয়েছিল এক হাজার ডোজ করোনার টিকা ‘কোভিশিল্ড’। পরদিন টিকা প্রদানের সময় ধরা পড়ে, সব বরফে পরিণত৷ বিভাগীয় তরফে হাজার ডোজের পুরোটাকেই বাতিল করা হয়৷
সারা দেশের সঙ্গে কাছাড়ের দুই কেন্দ্রেও তালিকাভুক্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে৷ ১৬ জানুয়ারি ছিল প্রথম দিন৷ তাই ১৫ জানুয়ারি সিভিল হাসপাতালস্থিত সেন্ট্রাল স্টোর থেকে হাজার ডোজ প্রতিষেধক পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল মেডিক্যালের আইএলআরে। পরদিন টিকার প্রথম ভায়ালটি বার করতেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীরা বিস্মিত। দশ টিকার একেকটি ভায়াল৷ সবকটি বরফে পরিণত। পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওই সব বরফ-টিকাকে বাতিল করে নতুন প্রতিষেধক পাঠান। কীভাবে এমন অমূল্য জিনিসের হাজার ডোজ নষ্ট হয়ে গেল, খতিয়ে দেখতে জেলাশাসক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ডিস্ট্রিক্ট ইম্যুনাইজেশন অফিসার ডা. অরুণ দেবনাথকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তবে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ হয়নি। প্রথম দিনে মেডিক্যালে ৬৩জন ও সিভিল হাসপাতালে ৪৬ জন কোভিড টিকা নেন। মঙ্গলবারও টিকা নিলেন ৪২ জন। মেডিক্যালে ১০ মহিলা এবং সিভিলে ১০ জন মহিলা ও ২২ জন পুরুষ।
স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম সঞ্চালক ডা. সুদীপজ্যোতি দাস জানিয়েছেন, অ্যাডিশনাল মেডিক্যাল অ্যান্ড হেলথ অফিসার পিকে রায় ও এই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউডি অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রভাস সিনহাকে শো-কজ করা হয়েছে।
পিকে রায় জানান, প্রথম পর্যায়ে শিলচর মেডিক্যাল কলেজের ১৪০০ ডোজ দরকার বলে জানতে পেরেছেন৷ তাদের নিজস্ব আইএলআর রয়েছে বলে তিনি একসঙ্গে ১০০০ ডোজ পাঠিয়ে দেন৷ আইএলআর নষ্ট হয়েই বিপত্তি বাঁধল৷
তাঁর কথায়, কোভিড প্রতিষেধকের জন্য আইএলআরের ভেতরে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা রাখা হয়৷ মেডিক্যালের আইএলআইটিকেও এমনটাই করা হয়েছিল। কিন্তু পরদিন দেখা যায়, তার তাপমাত্রা মাইনাস ছয়ে নেমে গিয়েছে।
তদন্তকারী অফিসার ডা. অরুণ দেবনাথের কথায়, নির্দিষ্ট তাপমাত্রা থেকে নেমে গেলে আইএলআর নিজে থেকে একটি সতর্কবার্তা সংশ্লিষ্ট কর্মীর মোবাইল নম্বরে পাঠানোর কথা। সেদিন কোনও বার্তা পৌঁছাতে পারেনি। তাই আইএলআরের দরুনই এমনটা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে তিনি মনে করছেন। তিনি জানান, এথন ওই হাজার ডোজ বাতিল কোভিড ভ্যাকসিন গুয়াহাটিতে পাঠানো হচ্ছে।
কিন্তু আইএলআর নষ্ট হওয়ার কথা মানতে নারাজ শিলচর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. বাবুল বেজবরুয়া। তিনি বলেন, গুয়াহাটি থেকে তদন্তকারী দল আসছে। তখনই বোঝা যাবে, কার দোষে এমনটা ঘটল।