India & World UpdatesAnalytics
হাথরস গণধর্ষণ মামলার শুনানি এলাহাবাদ হাইকোর্টেই, জানাল শীর্ষ আদালত
২৭ অক্টোবর : দিল্লি নয়, হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডের মামলা এলাহাবাদ হাইকোর্টেই হবে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানাল, উত্তর প্রদেশের হাথরাসে দলিত যুবতীর গণ ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তে নজরদারি চালাবে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। হাথরাস গণধর্ষণকাণ্ডে মৃতার পরিবারের আর্জি খারিজ করে দিয়ে এ দিন সুপ্রিম কোর্ট মামলা এলাহাবাদ হাইকোর্টে ফেরানোর নির্দেশ দেয়। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এ দিন মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই মামলাটি এলাহাবাদ হাইকোর্টের পরিবর্তে দিল্লিতে স্থানান্তরের আবেদন করা হয়েছিল, যদিও তা খারিজ হয়ে গেল। হাথরাস মামলার সাক্ষী ও নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তার যাবতীয় দায়িত্ব থাকবে এলাহাবাদ হাইকোর্টের উপরে, এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সিবিআই এই তদন্ত শেষ করুক। পরবর্তী পর্যায়ে বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
যেহেতু সিবিআই এখনও হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডের তদন্ত চালাচ্ছে, তাই এখনই এলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে মামলাটি সরানো যাবে না। সিবিআই তদন্ত সম্পন্ন হলে তা ভাবা যেতে পারে। এলাহাবাদ হাইকোর্টে তদন্তের গতিপ্রকৃতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জানিয়ে দেওয়ার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। হাথরসের গণধর্ষিতা উনিশের তরুণীর পরিবার নিজে থেকে সিবিআই তদন্ত চায়নি। যোগী আদিত্যনাথ যে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে দিয়েছিলেন, তাতেই আস্থা রেখেছিলেন। নিরপেক্ষতার খাতিরে দলিত এই পরিবারটির দাবি ছিল, হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন কোনও বিচারপতির নজরদারিতে সিটই তদন্ত করুক। কিন্তু যোগী আদিত্যনাথ চাপের মুখে তার আগেই সিবিআইয়ের হাতে হাথরাস মামলার তদন্ত তুলে দেন। সিবিআইয়ের টিম এই মামলায় নতুন করে এফআইআর দায়ের করে তদন্তে নেমে পড়েছে।
বিচারপতি এএস বোপান্না ও বিচারপতি ভি রামসুব্রাহ্মণিয়ামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চটিও এলাহাবাদ হাইকোর্টকে সেখানে বিচারাধীন একটি পিআইএল-এর আদেশ থেকে নির্যাতিতার নাম মুছতে বলেছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০ বছরের দলিত যুবতীকে ৪ জন উচ্চবর্ণের লোক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে দিল্লির হাসপাতালে নির্যাতিতা যুবতীর মৃত্যু হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর তার বাড়ির কাছে নির্যাতিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে এই মামলায় অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে পরিবারের সম্মতি ছাড়া মাঝরাতে নির্যাতিতা্র শেষকৃত্য সম্পন্ন করায় দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। যদিও আধিকারিকদের দাবি. পরিবারের ইচ্ছা মেনেই শেষকৃত্য হয়েছে।