Barak UpdatesBreaking News
উৎসব মুখর পরিবেশে মনোনয়ন পেশ, সুর কাটল বিক্ষুব্ধদের তোপFestive atmosphere on last day of filing nomination
১৯ নভেম্বর : দ্বিতীয় দফার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সোমবার মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে উৎসব মুখর ছিল শহর শিলচর। এ বার সব রাজনৈতিক দলই তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে দেরি করায় শেষ দিন মনোনয়ন পত্র দাখিল করার চাপ বেশি ছিল। শিলচর শহরে এ দিন বেশ কয়েকটি স্থানে মনোনয়ন পত্র গ্রহণের ব্যবস্থা করেছিল কাছাড় জেলা প্রশাসন। ফলে শহরের রাস্তা প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের ভিড়ে ছয়লাপ হলেও সময়ের মধ্যেই নির্বিঘ্নে কাজ এগিয়েছে।
এ দিন শহরের জেলা পরিষদ কার্যালয়, সরকারি বালক বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, গ্রামোন্নয়ন বিভাগের কার্যালয়, ডিআইসি অফিস, সেটেলমেন্ট বিভাগের কার্যালয়, পুরসভা ভবন, তরুনরাম ফুকন স্কুল ইত্যাদি স্থানে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এ দিন কংগ্রেস ও বিজেপির প্রার্থীদের সঙ্গে দলের নেতাদেরও বিভিন্ন কেন্দ্রে দেখা গেছে। শাসক দলের প্রার্থীদের সঙ্গে হাজির ছিলেন মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, বিধায়ক দিলীপ কুমার পাল সহ অন্যরাও।
শেষ দিনে বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে শক্তি প্রদর্শন করতেও দেখা যায়। কেউ মোটরবাইক নিয়ে র্যালি করেন, আবার কেউ স্লোগান তুলে পরিবেশ গরম করে দেন। তাছাড়া প্রত্যাশীদের জন্য এ বার নতুন কিছু নিয়ম জুড়ে দেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে থাকা অনেককে দেখা গেছে পরিবারের অন্য সদস্যদের ভোটের ময়দানে হাজির করতে। ফলে রাজনীতির অঙ্গনে একেবারেই নবাগত এমন বহু প্রার্থীকে এ দিন দেখা যায়। তবে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে মনোনয়ন জমা দেবার পর্ব। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার নিজে নেমে সবকিছু তদারকি করেছেন।
এ দিন সন্ধ্যায় জেলাশাসক সাংবাদিকদের জানান, কাছাড়ের ২৭টি জেলা পরিষদ আসনে ১০৫ জন প্রার্থী এ বার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। ১৬২টি আঞ্চলিক সদস্য পদের জন্য মনোনয়ন দাখিল করেছেন ৫৭৪ জন। ১৬২টি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য পদে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন ৬১৪ জন। তবে মঙ্গলবার মনোনয়ন পত্রগুলো পরীক্ষার পরই চূড়ান্ত হবে ঠিক কতজন এ বার পঞ্চায়েতের মাঠে থাকছেন।
অন্যদিকে, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর্ব ভালয় ভালয় কাটলেও পুরো দিন ধরে সুর কেটেছে বিক্ষুদ্ধদের ক্ষোভ। প্রায় সব রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই প্রচুর সংখ্যায় বিক্ষুব্ধরা দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। অনেকেই দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে টিকিট দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন।