NE UpdatesAnalyticsBreaking News
৭ মাসে ৫৩৩টি হত্যাকাণ্ড, তথ্য অসম বিধানসভায়
গুয়াহাটি, ২৩ আগস্ট : অসমে গত জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত সাত মাসে মোট ৫৩৩টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই চিত্রটি রাজ্য বিধানসভায় তুলে ধরেছেন স্বরাষ্ট্র বিভাগের দায়িত্বে থাকা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
বিভিন্ন সময়ে জাতীয় পর্যায়ের সমীক্ষার ভিত্তিতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন অসম সরকার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করে আসছে। কিন্তু বিধানসভায় অসম সরকারের স্বরাষ্ট্র বিভাগের দেওয়া তথ্যে এই দাবির বিষয়টি নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। রাজ্যে সাত মাসে ৫৩৩টি হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার এই তথ্য নিশ্চিতভাবে সুখের নয়।
বৃহস্পতিবার থেকে অসম বিধানসভার শরৎকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। এই অধিবেশনে বিরোধী কংগ্রেস বিধায়ক জাকির হোসেন শিকদারের এক প্রশ্নের ভিত্তিতে তথ্য তুলে ধরেছে স্বরাষ্ট্র বিভাগ। শুধু হত্যাকাণ্ডই নয়, রাজ্যে সংঘটিত চুরি ডাকাতি ইত্যাদিরও তথ্য প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র বিভাগ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, রাজ্যে সর্বাধিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে নগাও এবং কামরূপ মহানগর জেলায়। এই দুই জেলায় ৩৬টি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে হত্যাকাণ্ডের যে ঘটনা ঘটেছে, জেলাভিত্তিক তার একটি হিসেব বিভাগ তুলে ধরেছে। এতে দেখা গিয়েছে, চরাইদেও জেলায় ১৯টি হত্যাকান্ড ঘটেছে। বরপেটায় ১৬টি বিশ্বনাথে ১৫টি, কাছাড়ে ১৭টি, দরঙে ১৪টি, ধেমাজিতে ১৬টি, গোলাঘাটে কুড়িটি, যোরহাটে ১৪টি, কামরূপে ৩০টি, লখিমপুরে ১৮টি, শোনিতপুরে ৩০টি হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এ দিকে জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত মোট ৪৬৯২টি চুরি এবং ৩২টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। স্বরাষ্ট্র বিভাগের দেওয়া এই তথ্যটিও রাজ্যবাসীর জন্য যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এই বৃহৎ সংখ্যক চুরির ঘটনায় অসম পুলিশের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন যে উঠেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সাত মাসে ৩২টি ডাকাতির ঘটনাও সাধারণ মানুষের মনে শঙ্কা তৈরি করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, অপরাধের প্রাণকেন্দ্র হয়ে পড়েছে গুয়াহাটি। কারণ গুয়াহাটিতেই সবচেয়ে বেশি চুরির মামলা পঞ্জিয়ন করা হয়েছে। জানা গেছে, বাজার থানায় ১০৫টি, দিসপুর থানায় ২২৪টি, বশিষ্ঠ থানায় ১৪২টি, জালুকবাড়ি থানায় ১০০টি, পানবাজার থানায় ৬৪টি এবং হাতিগাঁও থানায় ৬৬টি চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে চুরির ঘটনায় রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কাছাড় জেলা। কাছাড়ের বড়খলা থানায় ১৩৩টি চুরির মামলা পঞ্জিয়ন করা হয়েছে। একইভাবে হত্যার ঘটনায় শীর্ষে থাকা নগাঁওয়ে ১৩৪টি এবং বরপেটায় ১০২টি চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে রাজ্যে আলফা স্বাধীন ১৫ আগস্ট ২৫টি বোমা রেখে শক্তি প্রদর্শন করার পর রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।