Barak UpdatesHappeningsBreaking News
৩০-তম প্রতিষ্ঠা দিবসে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্যভট্ট মানমন্দিরের উদ্বোধন
ওয়েটুবরাক, ২১ জানুয়ারি : আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০-তম প্রতিষ্ঠা দিবসে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাদে আর্যভট্ট মানমন্দির (অ্যাস্ট্রনমি অবজারভেটরি) উদ্বোধন হয়েছে। উদ্বোধন করেন দেরাদুনের ওয়াদিয়া ইন্সটিটিউট অব হিমালয়ান জিওলজির ডিরেক্টর অধ্যাপক কালাচাঁদ সাইন। অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রাজীব মোহন পন্থ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মহম্মদ গিয়াসউদ্দিন মিয়া। মানমন্দির উৎসর্গ করা হয় ভারতের মহান জ্যোতির্বিজ্ঞানী আর্যভট্টের নামে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পদার্থবিদ্যা বিভাগের বরিষ্ঠ অধ্যাপক অশোককুমার সেন, বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক বি. ইন্দ্রজিৎ শর্মা, অধ্যাপক অত্রি দেশমুখ্য, ড. হিমাদ্রি শেখর দাস, ড. উৎপল সরকার, ড. প্রদীপ কুমার শুক্লা, স্বর্ণদীপ বিশ্বাস, ড. মহানন্দ বরো, অ্যালবার্ট আইনস্টাইন স্কুল অব ফিজিক্যাল সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক করবী দত্ত চৌধুরী, অধ্যাপক সুদীপ্ত রায়, অধ্যাপক চির রঞ্জন ভট্টাচার্য, ড. অমলেন্দু চক্রবর্তী, অধ্যাপক জয়শ্রী রাউথ, বিভাগের প্রাক্তনী ড. পারিজাত দেব রায়, ড. অরিন্দম চক্রবর্তী, গবেষক গুলাফসা বেগম চৌধুরী, ভাস্কর গোস্বামী, ভাস্কর জ্যোতি বর্মন, বিকি প্রসাদ, কৃষ্ণ সরকার, অংশুমান বড়ুয়া ৷ এ ছাড়াও বিভাগের ছাত্রছাত্রী এবং অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
আর্যভট্ট মানমন্দিরে ১৪ ইঞ্চি সেলেস্ট্রন টেলিস্কোপ বসানো হয়েছে, যা উত্তরপূর্ব ভারতের অন্যতম বৃহত্তম দূরবীন। এই দূরবীনের সাহায্যে আগামীতে গ্রহ, নক্ষত্র আর ধূমকেতুর পর্যবেক্ষণ করা হবে। বিভাগের ছাত্রছাত্রী তথা গবেষকেরাও উন্নত মানের গবেষণা করতে পারবেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই এমনটা জানালেন এই মানমন্দিরের দায়িত্বে থাকা পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. হিমাদ্রি শেখর দাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক পন্থ বলেন, এই মানমন্দির ছাত্রছাত্রী তথা সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ছাত্রছাত্রীরা যাতে বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে ওঠে এর জন্য পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তরফ থেকে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। অধ্যাপক অশোক কুমার সেন বলেন, দীর্ঘদিন পর তাঁর একটি স্বপ্ন সফল হলো। সেই ২০০১ থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞান পড়ানো হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। উৎকর্ষতার দিক থেকে বলতে গেলে, ভারতের মানচিত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এক আলাদা স্থান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকেই তিনি মানমন্দির বসানোর উদ্যোগ নেন। আজ এটি সম্ভব হয়েছে। অধ্যাপক করবী দত্ত চৌধুরী এই মানমন্দির স্থাপনের মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক দিকে কয়েক ধাপ এগিয়ে গেলো।
মানমন্দিরের সৌন্দর্য বর্ধনের দায়িত্বে ছিল ‘রিডিজাইন’ এনজিও। ভিজ্যুয়াল আর্টস ডিপার্টমেন্টের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল এই এনজিও। অধ্যাপক নির্মল কান্তি রায়, গৌতম দত্ত এবং ড. দেবাশিস চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে সুইতা হুইড্রম, একতা পাল, প্রসেনজিৎ কুমার সাহা, রাহুল সিংহ, নিলোধ্বজ সিংহ, এবং রতন কুমার শর্মা এই প্রজেক্টের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল।