India & World UpdatesHappeningsBreaking News
২৭ লক্ষকে বিকল্প দিতে চায় কেন্দ্র, তৃণমূলের দাবি আধারই, রায় শুক্রবার
ওয়েটুবরাক, ৯ নভেম্বর: যতদিন না এনআরসি চূড়ান্ত হচ্ছে, বিকল্প হিসেবে আধার চেয়ে করা আবেদন সংখ্যাকে ভিত্তি করে আধার সংক্রান্ত সব ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। শুক্রবার কেন্দ্রের এই প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল৷
অসমে এনআরসির কাজ ঝুলে থাকায় প্রায় ২৭ লক্ষ মানুষ আধার কার্ড পাচ্ছেন না। তাঁদের বায়োমেট্রিক তথ্য লক হয়ে রয়েছে। সেই সমস্যা মেনে নিয়েই কেন্দ্র এই প্রস্তাব রেখেছে৷ অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে জানান, কেউ আধার না পেয়ে থাকলে আধারে নাম তোলা বা এনরোলমেন্টের জন্য আবেদন জানাতে পারেন। সেই আবেদনপত্রের এনরোলমেন্ট নম্বর ও স্লিপের ভিত্তিতেই তাঁরা সব সরকারি সুবিধা, ভর্তুকি ইত্যাদি পেতে পারেন।
কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দেব এতে আপত্তি জানিয়ে বলেন, আধারের সঙ্গে এনআরসি বা রেজিস্ট্রার জেনারেলের দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। এনআরসিতে নাম থাক বা না থাক, এর জন্য আধার দেওয়া আটকায় না। অসমের আধার-বঞ্চিতদের অস্থায়ী-বিকল্প ব্যবস্থা নয়, স্থায়ী আধার কার্ডই দিতে হবে। পরের শুক্রবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের তারিখ নির্ধারিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ।
বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন তৃণমূলের সাংসদ সুস্মিতা দেব। এ নিয়ে কেন্দ্র সরকার ও অসম সরকারের জবাব তলব করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, সরকার এই সমস্যার সমাধানের জন্য একটি ‘অফিস মেমোরান্ডাম’ ইস্যু করেছিল। তার ভিত্তিতেই আধারের বদলে আবেদনপত্রের এনরোলমেন্ট নম্বর ব্যবহার করে অস্থায়ী ভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়।
তৃণমূলের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দেব দাবি করেন, ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট রেজিস্ট্রার জেনারেলের উপস্থিতিতে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘ফাইনাল এনআরসি’ বলা হয়েছিল। এনআরসি-র ওয়েবসাইটেও সেই উল্লেখ রয়েছে। আদালতও তাকেই চূড়ান্ত এনআরসি বলে মেনে নিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কোথাও বলা হয়নি যে, এনআরসি না হওয়া পর্যন্ত আধার নম্বর দিতে পারবে না। আরজিআইয়ের সঙ্গেও আধারের কোনও যোগ নেই। ২০০৩ নাগরিকত্ব আইনের ৭ নম্বর রুল অনুযায়ী ন্যাশনাল আইডেন্টিটি কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে আরজিআইয়ের কর্তৃত্ব থাকলেও আধারের ক্ষেত্রে তারা বাধা দিতে পারে না। তিনি আরও বলেন, আধার আইনে বলা হয়েছে যে কেউ ভারতে ১৮২ দিনের বাসিন্দা হলে বা আধারের জন্য আবেদন করার আগে ১২ মাস ভারতে থাকলেই আধার নম্বর পেতে পারেন। আধার নম্বরের সঙ্গে নাগরিকত্বেরও কোনও যোগ নেই।
কিন্তু কেন্দ্র ফের জানিয়ে দেয়, আরজিআই স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত এনআরসি চূড়ান্ত হবে না। রাজ্য এনআরসি দফতরও বায়োমেট্রিক তথ্য অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারবে না৷ আগামী শুক্রবার দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে চূড়ান্ত রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।