হাতে পাখা ও হ্যারিকেন নিয়ে বিধানসভায় অভিনব প্রতিবাদ অখিল গগৈর

গুয়াহাটি, ১১ সেপ্টেম্বর : সোমনার থেকে আসাম বিধানসভার শরতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। প্রথম দিনই সরকারের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ করলেন শিবসাগরের বিধায়ক অখিল গগৈ। লোডশেডিং-এর জন্য হাতে পাখা ও হ্যারিকেন নিয়ে বিধানসভায় প্রবেশ করলেন বিধায়ক।

বিদ্যুতের লুকোচুরিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন রাজ্যবাসী। এর প্রতিবাদে বিধানসভার শরতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই সরব হন তিনি। বিধায়ক বর্তমানে রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে বলেন, বর্তমানে পিক আওয়ারে রাজ্যে ২৫৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। সে জায়গায় রাজ্যে মাত্র ২৮১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। অর্থাৎ বর্তমান চাহিদার ১০ শতাংশের সামান্য বেশি বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় রাজ্যে।

বর্তমান সরকারকে কটাক্ষ করে অখিল বলেন, পুরো রাজ্য অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। সরকার বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারছে না, বিদ্যুৎ ক্রয় করতে পারছে না। গরমে মানুষের মধ্যে হাহাকার দেখা দিয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে, হাসপাতালে প্রয়োজনের সময় ইসিজি করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় দেশের শ্রেষ্ঠ রাজ্যগুলোর তালিকায় অসংখ্য কিভাবে নেবেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা সে প্রশ্ন তোলেন অখিল।

জাতীয় পর্যায়ে একজন বিদ্যুৎ গ্রাহকের রাজ্যভিত্তিক তথ্য তুলে ধরে বিধায়ক বলেন, জাতীয় পর্যায়ে প্রত্যেক বিদ্যুৎ গ্রাহক ১২৫৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করেন। কিন্তু তার বিপরীতে অসমে প্রতি ঘন্টায় মাত্র ৩৮৪ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে। অন্যদিকে পাঞ্জাবে প্রতি ঘন্টায় ২৩৫০ কিলোওয়াট এবং গুজরাটে ২২৩৯ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে। কিন্তু আসামে যে সামান্য পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয় তাও দিতে পারছে না বর্তমান সরকার। কিন্তু বিদ্যুতের মাশুলের ক্ষেত্রে সরকার জনগণের টুটি চেপে ধরছে।