Barak UpdatesHappeningsCultureBreaking News
হাজার হাজার ভক্ত সমাগমে শিলচর পরিক্রমা করল শোভাযাত্রা
শিলচর রামকৃষ্ণ মিশনের শতবর্ষ পূর্তিতে নতুন মন্দির প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে আয়োজন

ওয়ে টু বরাক, ১৬ মার্চ : এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকল শহর শিলচর। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ভাবনা ও আদর্শে শহর পরিক্রমা করলেন হাজার হাজার মানুষ। সাত সকালেই শহর যেন হয়ে উঠল এক ধর্মনগরী। বিশাল শোভাযাত্রায় মাঝে মাঝেই ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীমা সারদা ও স্বামীজির নামে জয়ধ্বনি উঠেছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন একনাগাড়ে গেয়ে চলে ঠাকুরের বিভিন্ন গান।
রবিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ এই শোভাযাত্রা বেরোয় টাউন ক্লাব মাঠ থেকে। এরপর শোভাযাত্রা ট্রাঙ্ক রোড ধরে এগিয়ে যায় সেন্ট্রাল রোডের দিকে। সেন্ট্রাল রোড থেকে ভাওয়াল পয়েন্ট, নাজিরপট্টি, প্রেমতলা হয়ে অম্বিকাপট্টি পয়েন্ট পর্যন্ত যায়। অম্বিকাপট্টি পয়েন্ট থেকে শোভাযাত্রাটি কলেজ রোড ধরে এগোতে থাকে। এরপর বিবেকানন্দ রোড ও আসাম রাইফেলসের ক্যাম্প হয়ে নেপালি মন্দির সংলগ্ন স্থানে গিয়ে মোড় ঘুরে মিশন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ভক্তদের এই পরিক্রমা চলতে থাকে। মিশনের ভলান্টিয়ারদের কাছ থেকে জানা যায়, শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া শেষ দলটি সেন্ট্রাল রোডে থাকার সময়ই মিছিলের অগ্রভাগ রামকৃষ্ণ মিশন স্পর্শ করে নিয়েছিল।
এই বিশাল শোভাযাত্রায় দুটো হাতিতে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ও স্বামীজির প্রতিকৃতি ছিল। শ্রীমা ছিলেন পালকিতে। এছাড়া আরও পাঁচটি সাদা ও কালো ঘোড়া এই শোভাযাত্রা শামিল হয়। সবমিলিয়ে ছিল প্রায় কুড়িটির মতো ট্যাবলো। দুটি ট্যাবলো বর্তমান ও পুরনো মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়। বিভিন্ন ভাষা গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক দল পরম্পরাগত পোশাকে শোভাযাত্রায় পায়ে পা মেলান।
শোভাযাত্রার একেবারে পুরোভাগে ছিলেন বেলুড় মঠের শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মহারাজ স্বামী গিরীশানন্দজি। এছাড়াও ছিলেন দেশের বিভিন্ন মঠ ও মিশন থেকে আসা একঝাঁক সন্ন্যাসী। ছিল বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারাও। অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিরাও এতে পা মেলান। প্রসঙ্গত, শিলচর রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমের নতুন মন্দিরের দ্বারোদঘাটন হতে চলেছে আগামী ১৮ মার্চ। বেলুড় মঠের শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রেসিডেন্ট মহারাজ স্বামী গৌতমানন্দজি এই নতুন মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করবেন।