Barak UpdatesHappeningsBreaking News
হাইলাকান্দিতে ‘মৃত’ মোবাইল চোরের সন্ধান মিলল করিমগঞ্জ থানায়
৮ সেপ্টেম্বরঃ হাইলাকান্দি গত সপ্তাহে বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। মোবাইল চুরির অভিযোগে চানপুরের বাড়ি থেকে ধরে এনে দমকল কর্মীরা রহিমউদ্দিন লস্কর নামে এক যুবককে মেরে ফেলে— এমন কথায় শত শত মানুষ জড়ো হয়েছিলেন হাইলাকান্দি দমকল অফিসের সামনে। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, শূন্যে গুলি চালান। খুনের অভিযোগে দুই দমকল কর্মীকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তারা এখন হাইলাকান্দি জেলে। মঙ্গলবার দুপুরে হাইলাকান্দির সেই ‘মৃত’ মোবাইল চোর করিমগঞ্জে গাড়ির ব্যাটারি চুরি করে ধরা পড়ে।
জেরায় রহিমউদ্দিনই জানায়, ২৫ আগস্ট দুইজনে মিলে দমকল কর্মীর একটি মোবাইল চুরি করে। ২৮ আগস্ট দমকল কর্মীরা তাকে বাড়ি তুলে এনে মারধর করে। পরে এরা বাড়ি দিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পর মা তাকে নিয়ে ফের দমকল অফিসে গিয়ে জখম ছেলের চিকিৎসা করানোর দাবি জানায়। তারা মহিলার হাতে পাঁচশো টাকা গুঁজে দিয়ে ওষুধ খাওয়াতে বলে। মা টাকা নিয়ে বাড়ি চলে গেলেও সে যায়নি। সে শিলচরে এসে পাঁচদিন কাটায়।
ওদিকে, পরিকল্পনামত ২৯ আগস্ট সকালে রহিমের মা কান্না জুড়ে দেন, তার ছেলেকে রাতে ধরে নিয়ে মেরে ফেলেছে দমকল কর্মীরা।
কী করে মৃত্যু সংবাদ পেলেন, মৃতদেহ এখন কোথায়, কারা তাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেল—-কোনও কিছু জানতে না চেয়েই কয়েকশো মানুষ দমকল অফিসে ছুটে যান। পুলিশ গেলে তাদের দেখেই ইটবৃষ্টি শুরু করে। জখম হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুলেন্দ্র নাথ ডেকা।
পুলিশ দুই দমকল কর্মীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠালেও মৃতদেহের সন্ধান পাচ্ছিল না। রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্তে নামে৷ কিন্তু কোনও কিনারা বের করতে পারেনি।
রহিমুদ্দিন জানায়, পাঁচদিন শিলচরে থাকার পর সে চলে যায় পাথারকান্দিতে। একরাত কাটানোর পরে আসে কানিশাইলে। মঙ্গলবার সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকা এক লরি থেকে ব্যাটারি চুরি করে ই-রিকশায় উঠেছিল। কিন্তু ই-রিক্সাচালকের সন্দেহ হওয়ায় দ্রুতবেগে তাকে নিয়ে করিমগঞ্জ সদর থানায় এনে ধরিয়ে দেয়।