India & World UpdatesHappeningsBreaking News
হরিয়ানার গুরুগ্রামে হিংসা, দুই হোমগার্ডের মৃত্যু
ওয়েটুবরাক, ১ আগস্ট : হরিয়ানায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ চলে। সোমবার সন্ধ্যার দিকে গুরুগ্রাম জেলায় সংঘাতের সূত্রপাত ঘটলেও পরে তা ফরিদাবাদ ও পালওয়ালেও ছড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহত ছাড়াও বহু জায়গায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রাণে বাঁচতে প্রায় আড়াই হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু গুরুগ্রামের কাছে একটি মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৪৮ মিনিটে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ জানান, আশ্রিত সবাইকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই অঞ্চলের ইন্টারনেট পরিষেবা। পাশপাশি বড় জমায়েত না করার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হোম গার্ডের দুই জওয়ান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। বেশ কয়েকজন পুলিশ সহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে আটজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হোদলের উপ-পুলিশ সুপার সজ্জন সিং মাথায় ও একজন পরিদর্শক পেটে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার গুরুগ্রাম থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরের মুসলিম অধ্যুষিত জেলা নুহ’তে ‘ব্রিজ মন্ডল জলাভিষেক যাত্রা’র আয়োজন করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। গুরুগ্রাম-আলোয়ার হাইওয়ে দিয়ে মিছিল যাওয়ার সময় একদল যুবক বাধা দেয়৷ তারা মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়েছে বলে অভিযোগ। এর জেরেই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
সে সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক সরকারি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। যারা মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু স্থানীয় একটি মন্দিরে আশ্রয় নেন।
এলাকাজুড়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশ তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে টিয়ার গ্যাসের সেলের পাশাপাশি বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে পুলিশ৷
হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ বলেন, “নূহতে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। নরহর মন্দিরে প্রায় তিন থেকে চার হাজার লোককে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। তাঁরা ভিএইচপি-র মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। সর্বাত্মক চেষ্টা করে এই লোকদের উদ্ধার করা হয়েছে।”
গুরুগ্রাম জেলা প্রশাসন মঙ্গলবারের জন্য সমস্ত স্কুল-কলেজ সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে৷