NE UpdatesHappeningsBreaking News
সৎসঙ্গের শ্ৰীবিগ্ৰহ প্ৰতিষ্ঠার স্বৰ্ণজয়ন্তী মহা-মহোৎসব সম্পন্ন
ওয়ে টু বরাক, ৫ ফেব্রুয়ারি : পরম প্ৰেমময় শ্ৰীশ্ৰীঠাকুর অনুকূলচন্দ্ৰের গুয়াহাটি মহানগরীর ভাঙাগড়ের “সৎসঙ্গ বিহার” তথা শ্রীমন্দিরের শ্ৰীবিগ্ৰহ প্ৰতিষ্ঠার স্বৰ্ণজয়ন্তী মহা-মহোৎসব অনুষ্ঠিত হল রবিবার দিনভর কার্যসূচিতে। তবে বিপুল জনসমাগমের কথা ভেবে এবারে মহোৎসব করা হয়েছে উত্তর গুয়াহাটির চাংসারির বিশাল প্রান্তরে। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিরাট প্যান্ডেলে প্রসাদ বিতরণের পাতার হিসেবে অন্তত পাঁচ লক্ষ মানুষ এ দিন সৎসঙ্গের এই ম্যাগা উৎসবে সমবেত হয়েছিলেন। এই লক্ষ লক্ষ মানুষের ইচ্ছেপূরণের জন্যে সৎসঙ্গের দেওঘর মূল আশ্রম থেকে এসেছিলেন স্বয়ং বর্তমান “শ্রীশ্রীআচার্যদেব” রূপে খ্যাত শ্রীঅর্কদ্যূতি চক্রবর্তী। উপচে-পড়া বিশাল ময়দানের লক্ষ মানুষের ঢল দেখে তিনি খুব খুশি হয়েছেন। বলেছেন, আবাল্য তিনি অসমের মাটি মানুষের সঙ্গে যুক্ত।
এ দিন সকাল থেকেই উৎসব প্রাঙ্গণে প্রায় একশ জন বিভিন্ন শাখার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি দল বিনামূল্যের চিকিৎসা শিবিরে অংশগ্রহণ করেন। দাতব্য চিকিৎসা শিবিরে ওষুধপত্রাদিও বিতরণ করা হয়। গুয়াহাটির প্রসিদ্ধ শ্রীমন্ত শংকর নেত্রালয়ের তরফে চক্ষুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিন শতাধিক চক্ষুরোগীর চিকিৎসা করা হয়।
এদিন ধর্মসভায় অংশ গ্রহণ করেন উত্তর গুয়াহাটির এইমস-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অশোক পুরাণিক, কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. প্রশান্ত চক্রবর্তী, প্রাক্তন বিধায়ক কমল সিং নার্জারি, যোরহাট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা সহপ্রতিঋত্বিক ড. অচ্যুত শর্মা, অবসরপ্রাপ্ত আরক্ষী অধিকারিক তথা সহপ্রতিঋত্বিক দেবেশ্বর দাস, অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রভাতচন্দ্র দাস, পুষ্করনারায়ণ গুপ্তা, যোগেশ বৈশ্য প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ কর্মী পরিমল বরুয়া।
বক্তাবৃন্দ জীবন ও বৃদ্ধির আন্দোলনে পরম প্রেমময় শ্ৰীশ্ৰীঠাকুর অনুকূলচন্দ্ৰের জীবন ও বাণীর বিষয়ে আলোকপাত করেন। এদিন সারা অসম ও উত্তরপূর্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষ এসে উৎসব ময়দানকে জনসমুদ্রে পরিণত করেন। গুয়াহাটির খানাপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদির জনসভা থাকায় অনুমান করা হয়েছিল যে উৎসবে লোকসমাগম কম হবে। কিন্তু সেই আশঙ্কাকে ব্যর্থ করে কয়েক লক্ষ মানুষ সৎসঙ্গের পতাকার তলায় সমবেত হয়েছিল। তার মধ্যে কয়েক হাজার মানুষ দীক্ষা গ্রহণ করেন।
বিকেলে মাতৃসম্মেলন ও বিনতি প্রার্থনার পর খোলা ময়দানে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। অসমের বিভিন্ন জাতি জনগোষ্ঠীর পরম্পরাগত কৃষ্টি-সংস্কৃতি তুলে ধরা হয় এতে। এমনকি শ্রীহট্টের ধামাইল নাচে শয়ে শয়ে নারী ঝাঁপিয়ে পড়েন। রাতে মুক্ত মঞ্চে একের পর এক জনপ্রিয় গানে হাজার হাজার মানুষকে উত্তাল করে তোলেন নতুন প্রজন্মের অন্যতম হার্টথ্রব শঙ্কু রাজকোঁওর। রাতেও অগণন মানুষ ঠাকুর-ভাণ্ডারায় প্রসাদ গ্রহণ করেন।