Barak UpdatesHappeningsBreaking News
স্বাস্থ্য উৎসবের সমাপ্তি, শীর্ষস্থান অক্ষুন্ন রাখতে প্রয়াস কাছাড়ের
ওয়েটুবরাক, ২২ নভেম্বর: জনস্বাস্থ্যের পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সরকারি স্বাস্থ্য সেবাকে আরো গণমুখী করে তুলতে সারা রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কাছাড় জেলায়ও শেষ হল তিনদিনের স্বাস্থ্য উৎসব। গত বছরের শীর্ষ স্থান দখলকারী কাছাড় জেলায় এবারও ৪২ টি হাসপাতালকে স্বাস্থ্য উৎসবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে একটি জেলা হাসপাতাল (সতীন্দ্রমোহন দেব মেমোরিয়াল অসামরিক হাসপাতাল), ৭টি কম্যুনিটি হেল্থ সেন্টার এবং ৩৪টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। গত সোমবার শুরু হয়ে বুধবার এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। এবারের উৎসবে তালিকাভুক্ত হাসপাতালগুলির পরিষেবার গুণগত মান, পরিকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা খতিয়ে দেখতে রাজ্য ও জেলা প্রশাসন থেকে জেলাশাসক রোহন কুমার ঝা সহ নিয়োগ করা হয় ৩০ জন বাহ্যিক মূল্যায়নকারী। শিলচরে আসাম সরকারের সংখ্যালঘু কল্যাণ ও উন্নয়ন বিভাগের যুগ্ম সচিব আবুল লেইস চৌধুরী এক্সটার্নাল ইভালিউটর হিসেবে যোগ দেন। একই কাজে সরকারি নির্দেশে যোগ দেন সাংসদ ডাঃ রাজদীপ রায়, বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, খলিল উদ্দিন মজুমদার, কাছাড় জেলা পরিষদের সভাপতি অমিতাভ রাই, ডিআইজি কঙ্গন জ্যোতি শইকিয়া, পুলিশ সুপার নোমল মাহাত্তা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণকুমার দাস,
অতিরিক্ত জেলাশাসক ড. খালেদা সুলতানা আহমেদ, যুবরাজ বড়ঠাকুর, মনসুর আহমদ লস্কর, অন্তরা সেন, সুদীপ নাথ, শাখা আধিকারিক জুনালি দেবী (স্বাস্থ্য), সহকারী আয়ুক্ত, সার্কল অফিসার ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের ১৪ জন বরিষ্ট আধিকারিক এবং শিলচর মেডিক্যাল কলেজের ১৪ জন চিকিৎসক। নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা হাসপাতালগুলির টেকনিক্যাল বিষয় খতিয়ে দেখেন। অন্যান্য নিয়োগপ্রাপ্ত আধিকারিকরা হাসপাতাল কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামোগত বৈশিষ্ট্যগুলির মূল্যায়ণ করেন। মূল্যায়ন শেষে প্রতিটি হাসপাতাল চত্বরে গাছের চারা রোপন করেন মূল্যায়নকারীরা।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য উৎসবের মাসাধিককাল আগে থেকেই জেলাশাসক রোহন কুমার ঝা এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক খালেদা সুলতানা আহমেদের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় প্রস্তুতি । দফায় দফায় করা হয় অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন। উদ্দেশ্য একটাই, এবারও যেন শীর্ষ স্থান অক্ষুন্ন রাখা সম্ভব হয়।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মধ্যে এবারের স্বাস্থ্য উৎসব হচ্ছে দ্বিতীয় আয়োজন। প্রথমবার কাছাড় জেলা প্রথম স্থান দখল করে। গতবারের ৪২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে ‘এ’ গ্রেড পেয়েছিল ১৯টি, ‘বি’ গ্রেড পেয়েছিল ২২টি এবং ‘সি’ গ্রেড ছিল ১টি। এবারে আরো অনেক ভালো ফলাফলের সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন জেলার যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক ডাঃ আশুতোষ বর্মণ, এন এইচ এমের জেলা কর্মসূচি প্রবন্ধক রাহুল ঘোষ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।