Barak UpdatesHappeningsBreaking News
স্বচ্ছতা বজায় রাখুন, জেলাশাসককে সতর্ক করে দিলেন সুস্মিতা
ওয়েটুবরাক, ২৪ মে : গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্ট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে তড়িঘড়ি ডলু বাগানের ৩০ লক্ষ চা গাছ উপড়ে ফেলার সমালোচনায় সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে৷ কিন্তু জবাব দেওয়ার বদলে গোপনীয়তা অবলম্বন করা হচ্ছে৷ আরটিআই করেও জবাব মিলছে না৷ অথচ রাতারাতি গাছ উপড়ে ফেলার জন্য শত এক্সক্যাভেটর লাগিয়ে দেওয়া হল৷ তাতে সন্দেহ ও অবিশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে৷ তিনি বলেন, এই এয়ারপোর্ট নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের এখনও কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি৷ অথচ আইনে রয়েছে বিজ্ঞপ্তি জারি বাধ্যতামূলক, সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট করাতে হবে৷ তাও হয়নি৷
ব্যারিস্টার সুস্মিতার কাছে আশঙ্কার কথা, জমিতে মালিকপক্ষের বিরোধ রয়েছে৷ এ ব্যাপারে প্রশাসনিক পর্যায়ে লেখালেখি হয়েছে৷ অর্থাৎ বিষয়টি জেলাশাসকের অজ্ঞাত নয়৷ এর পরও বিরোধ না মিটিয়ে একপক্ষের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় অন্য পক্ষ আদালতে গেলে ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদান আটকে যাবে৷ সে ক্ষেত্রে না হবে বিমানবন্দর, না থাকবে চা বাগান৷ মাঝে কাজ হারিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়বেন শ্রমিকরা৷
এই সব বিষয় স্পষ্ট করে জানানোর জন্য আরও একটি সর্বদলীয় সভা আহ্বানের জন্য তিনি জেলাশাসকের উদ্দেশে আহ্বান জানান৷ তিন শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে মউ করেই দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া না বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ পাশাপাশি বিস্ময় প্রকাশ করেন শ্রমিক সংগঠন ও নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা, বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে৷ বলেন, তিন ইউনিয়নের অধীনেই সব কর্মচারী থাকলে বিক্ষোভ হচ্ছে কী করে? কেন শ্রমিকরা ওই ইউনিয়নগুলির কথা না শুনে নতুন সংগঠনের আহ্বানে বেরিয়ে আসছে?
সুস্মিতা মউ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন৷ বলেন, কারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, কারা ক্ষতিপূরণের অধিকারী হবেন, এর কোনও তালিকা নেই৷ কারা কী ভাবে কতদিনের অর্থ পাবেন, সে সবের উল্লেখ নেই৷ জেলাশাসক কীর্তি জল্লিকে সতর্ক করে দেন, বিজ্ঞপ্তি জারি বা সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট না হলে, মনে করা হবে, তিনিও ষড়যন্ত্রের অংশ৷