NE UpdatesHappeningsBreaking News
সেবা অধিকার কমিশনের যাত্রা শুরু অসমে, ওয়েবসাইট চালু মুখ্যমন্ত্রীর
গুয়াহাটি, ১ ডিসেম্বর : অসম রাজ্য সরকারি সেবা অধিকার কমিশনের যাত্রা শুরু হল। সরকারি সেবা ক্ষেত্রে অধিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার অঙ্গ হিসেবে রবিবার গুয়াহাটিতে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা এই কমিশন চালু করেন। এর পাশাপাশি সরকারি সেবার অধিকারের জন্য আবেদন প্রক্রিয়ার বিষয়ে উল্লেখ করা ম্যানুয়াল ও কমিশনের ওয়েবসাইটটিও এ দিন চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ভাষণ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিবর্তনশীল ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, যদি নাগরিকরা তাদের অধিকার বিষয়ে অজ্ঞাত থাকেন, তাহলে সুশাসন সম্ভব নয়। জনগণ অনেক সেবা সুবিধা লাভ করবেন উল্লেখ করে তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন, এই সেবাগুলো দক্ষ ও সময়মতো প্রদান নিশ্চিত করা সরকারের প্রাথমিক কর্তব্য।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে মধ্যপ্রদেশে প্রথমবারের মতো সরকারি সেবার অধিকার আইন প্রবর্তন করা হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশের কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অসমে ২০১২ সালে আইন প্রণয়ন করে একে অনুসরণ করেছিল। ২০১৯ এবং ২০২৪ সালে পরবর্তী সংশোধনও হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, সেবা সেতু প্ল্যাটফর্ম-এর মাধ্যমে অসম সরকার ইতিমধ্যে প্রায় ৭২৫টি বিষয়কে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যার মধ্যে আছে ষষ্ঠ অনুসূচির অধীনে ৬৪টি সরকারি বিভাগ এবং তিনটি স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই পোর্টালটি সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা প্রদান করে এবং প্রতিটি সেবা প্রদান করার জন্য সর্বাধিক সময়সীমাও নির্ধারণ করে দেয়। সেবা সেতু প্ল্যাটফর্ম চালু হওয়ার পর ১ কোটি ৫৬ লক্ষেরও বেশি আবেদন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৯৯ শতাংশের বেশি আবেদন সফলভাবে সমাধান করা হয়েছে। সরকারি সেবার অধিকার আইন এখন দেশের ৩৪টি রাজ্যে বলবৎ করা হয়েছে, যাতে নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষিত করা সম্ভব হয়। নাগরিকরা এখন তথ্যের অধিকার আইনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, গত বছর রাজ্য সরকার সরকারি সেবার অধিকারের জন্য রাজ্য কমিশন স্থাপনের সিদ্ধান্তটি জনসেবার অধিকারকে প্রকৃত অধিকারে রূপান্তর করার এক নির্ণায়ক পদক্ষেপ। মুখ্যমন্ত্রী অসম রাজ্য সরকারি সেবা অধিকার কমিশনের মুখ্য কমিশনার হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস আধিকারিক সুজয় লাল থাওসেনকে নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেন। এর পাশাপাশি রঞ্জন কুমার চক্রবর্তী ও বিমল সি ওসওয়ালকে সদস্য হিসেবে নিযুক্তি দেওয়া হয়েছে।
তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন, যদি জনগণকে তাদের অধিকার ও সেবাগুলো দক্ষতার সঙ্গে প্রদান করা হয়, তাহলে অসমে দৃষ্টান্তমূলক শাসনের এক মানদণ্ড স্থাপন করতে পারবে। তিনি আধিকারিক ও অসামরিক কর্মচারীদের এই সংস্কারগুলো রূপায়ণের ক্ষেত্রে সক্রিয় হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। এছাড়া এই কমিশনের মাধ্যমে উপলব্ধ অধিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন মুখ্যমন্ত্রী।