NE UpdatesHappeningsBreaking News

সিকিমে আরও বিপর্যয়ের আশঙ্কা, সতর্কতা জারি, উত্তরবঙ্গেও আতঙ্ক

ওয়েটুবরাক, ৮ অক্টোবর : দক্ষিণ লোনাক হ্রদের বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বিপর্যয়ের রেশ কাটতে না-কাটতেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে উত্তর সিকিমেরই সাকো-চো হ্রদ। হ্রদটির আশপাশের এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ ১২ কিলোমিটার দূরে লাচেন উপত্যকার থাঙ্গু, চেলা ও ইয়াথাংয়ের গ্রামগুলির বাসিন্দাদেরও নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। খালি করে দেওয়া হয়েছে গ্যাংটকের সিংতামের গোলিতার, মঙ্গনের দিকচু এবং পাকিয়ংয়ের রংপো আইবিএম এলাকা।

হ্রদটি উত্তর সিকিমের ১৬,৪০৪ ফুট উচ্চতায় রয়েছে। দক্ষিণ লোনাকের চেয়ে আয়তনে কম হলেও গভীরতা অনেক বেশি। স্যাটেলাইট নজরদারিতে দেখা গিয়েছে, গত কয়েক দিনে সেটির জলস্তর প্রায় ছ’মিটার বেড়েছে। এতেই অশনিসঙ্কেত দেখছেন অনেকে। শুধু তা-ই নয়, ৫৯৪ ফুট গভীর সাকো-চো-র উপরে রয়েছে এক হাজার মিটার উচ্চতার একটি হিমবাহ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, উষ্ণায়নের কারণে সেই হিমবাহে ভাঙন ধরেছে। বরফগলা জলে হ্রদের গভীরতা সম্প্রতি আরও বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ক্রমাগত জলের চাপে যে কোনও মুহূর্তে হ্রদটি ফেটে যেতে পারে। তাতে ‘গ্লেসিয়ার লেক আউটবার্স্ট ফ্লাড’ হওয়ারও প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স পর্যন্ত ভেসে যেতে পারে। কারণ, হড়পা বানে জলস্ফীতি হলে ডুয়ার্সের নদীগুলিও ছাপিয়ে যাবে। আর ডুয়ার্সে যদি বন্যা হয়, তা আরও বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সিকিমের হ্রদের বিস্ফোরণ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখার জন্য ‘ইন্টার মিনিস্টিরিয়াল সেন্ট্রাল টিম’ তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ২০১৩ সালে সিকিম সরকারকে লোনাক হ্রদ নিয়ে প্রথম বার সতর্ক করেছিল হায়দারবাদের ন্যাশনাল রিমোট সেনসিং সেন্টার বা এনআরএসসি। ২০১৭ সালে ওই হ্রদ থেকে জলও বার করেছিল সিকিম। তার পরে আর কিছু হয়নি। সেই তথ্য গত বুধবারই দিল্লিতে পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বের বৈঠকে সে সবই উঠে এসেছে। সেখানে নতুন করে সাকো-চো-কেও বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker