India & World UpdatesHappeningsBreaking News
সিএএ : মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেপি নেতৃত্ব, বিরোধীদের ভিন্ন সুর
ওয়েটুবরাক, ১২ মার্চ : লোকসভার ভোটের প্রাক্কালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন জারি করেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, এটাই ‘মোদি কি গ্যারান্টি’। বিরোধীদের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের দামামা বাজতেই সিএএ দিয়ে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে বিজেপি।
২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাশ করিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। ওই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত। সংসদের দু’কক্ষে পাশ হওয়ার পরে দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও অনুমোদন দেন সিএএ বিলে। কিন্তু এত দিন ধরে সিএএ কার্যকর করা নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।
সোমবার সিএএ চালু হওয়ার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘এই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরও একটি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন। এ বার পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশে ধর্মীয় নিপীড়িতরা এ দেশের নাগরিক হতে পারবেন।’’
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘মানবতার কল্যাণে নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক। এই আইন পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হওয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সম্মানজনক জীবনের পথ তৈরি করল।’’ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মার দাবি, মোদির গ্যারান্টি মানেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন।
বিরোধীদের দাবি, ভোটের মুখে সিএএ জারির সিদ্ধান্ত শুধুই রাজনৈতিক চমক। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “যাঁদের ভোটে সরকার তৈরি হয়েছে, তাঁদের নাগরিকত্ব নিয়ে কী ভাবে প্রশ্ন তুলতে পারে কেন্দ্র।” একই কথা বলছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তাঁর কটাক্ষ, ১০ বছর দেশ শাসন করার পরে ঠিক আর একটি নির্বাচনের দোরগোড়ায় এসে সিএএ কার্যকর করছে মোদি সরকার। কেজরীর দাবি, এই সিদ্ধান্ত ভোট-ব্যাঙ্ক রাজনীতির বড় উদাহরণ। কর্নাটক সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে সিএএ জারির তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব থেকে মিম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি— সবার সুর মোটামুটি এক।