সাডেন ডেথে ৯-৮, ধলাইর মাতৃভূমি কাপে চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ

ওয়েটুবরাক, ৮ সেপ্টেম্বর : স্বপ্ন ভঙ্গ জামালপুর এফসি দলের। ধলাইতে মাতৃভূমি কাপ প্রাইজমানি নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্টের খেতাব অর্জন করলো ইসলামাবাদ ইলেভেন ব্রাদার্স দল। রবিবার স্থানীয় বাম নিত্যানন্দ উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অন্যতম খেতাবি দাবিবার হিসাবে বিবেচিত জামালপুর এফসি-কে সাডেন ডেথে ৯-৮ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম বারের মতো চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন করল ইসলামাবাদ ইলেভেন ব্রাদার্স। এদিন মাঠে উপস্থিত প্রায় পঞ্চাশ হাজার ফুটবল প্রেমী দর্শক উপভোগ করলেন এক রোমাঞ্চকর ম্যাচ। ফাইনাল ম্যাচের শুরু থেকেই খেতাব দখলে দু’টি দলের লড়াই ছিল টানটান। এক ঘণ্টার খেলায় আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণই চলছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। গোলশূন্য খেলার মীমাংসা হয় টাইব্রেকারে। উত্তেজনাপূর্ণ সাডেন ডেথে ৯-৮ গোলে মাতৃভূমি কাপ নিজের দখলে নেয় ইসলামাবাদ ইলেভেন ব্রাদার্স। টাইব্রেকারে জামালপুর এফসির গোলকিপার একটি ও ইসলামাবাদ গোল কিপার দু’টি বল সেভ করেন।

খেলা শেষে দুটি দল এবং সেরা খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি সাংসদ পরিমল শুক্লবৈদ্য সহ অন্যান্যরা। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় পুরস্কার পেয়েছেন জিকেএফসির খেলোয়াড় সিনিংস্টার মুকিম। ম্যান অফ দ্যা ফাইনাল ম্যাচ পুরস্কার পান ইলেভেন ব্রাদার্স এর ডিসেম্বর, সেরা গোলকিপার নির্বাচিত হন ফাওয়া এফসির শান বর্মন । এছাড়াও সেরা ডিফেন্ডার পুরস্কার পেয়েছেন জামালপুর এফসির ইমরান খান, সর্বোচ্চ গোলদাতা পুরস্কার পেয়েছেন জামালপুর এফসির হ্যাম্বা সিংহ, সেরা ফরওয়ার্ড খেলোয়াড় ডিমা ইয়ুথ স্টার দর্মিখালের বিকাশ বর্মণ, সেরা লিংক ম্যান ডিমা ইয়ুথ স্টার দর্মিখাল এফসির অভিষেক বর্মন ও সেরা শৃঙ্খলাপরায়ণ দলের পুরস্কার পায় মথুরাপুর এফসি।

এদিন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শিলচরের সাংসদ পরিমল শুক্লবৈদ্য তাঁর বক্তব্যে ধলাইর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্রীড়া সংস্থা মাতৃভূমির ভূয়শী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সংস্কৃতি ও খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে দীর্ঘ বছর ধরে প্রয়াস চালাচ্ছে মাতৃভূমি। এছাড়া মাতৃভূমির সভাপতি সিতাংশু দাস এক মাসের সেই আসরকে সফল রূপ দিতে বরাক উপত্যকার সকল ফুটবল প্রেমী দর্শক, সংবাদ মাধ্যম, ধলাই পুলিশ প্রশাসন সহ টুর্নামেন্টের স্পন্সরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এদিন ফাইনাল খেলায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপি সভাপতি বিমলেন্দু রায়, ডিএসএ-র প্রাক্তন কর্মকর্তা সুজন দত্ত, শিলচর সাব ডিভিশনাল এসসি বোর্ডের চেয়ারম্যান নীহার রঞ্জন দাস, প্রাক্তন বিডিও রসরাজ দাস, সমাজকর্মী মৃদুল মজুমদার, চন্দন শর্মা, স্কুলের অধ্যক্ষ পিনাক চক্রবর্তী, শশাঙ্ক পাল, ভূষণ পাল, অমিয় কান্তি দাশ সহ আরও অনেকে। ফাইনাল ম্যাচের শুরুতে উভয় দলের খেলোয়ারদের সঙ্গে পরিচিত হন লক্ষীপুরের বিধায়ক কৌশিক রায়। চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫০ হাজার টাকা ও ট্রফি এবং রানার্স দলকে ২৫ হাজার টাকা ও ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনা করেন শামিম আহমেদ বড়ভূইয়া, শঙ্কর ভট্টাচার্য, কমরুজ্জামান লস্কর ও প্রবীণ বর্মন। খেলার শুরু হওয়ার আগে বিভিন্ন জাতি জনগোষ্ঠীর পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গোটা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উৎপল দত্ত।