Barak UpdatesCulture
সম্মিলিতের ‘হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ চেতনায় উনিশ’ সোমবার থেকে
৫ মেঃ ‘হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ চেতনায় উনিশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চ এ বারও কবিগুরুর জন্মোতসব, ভাষাশহিদ দিবস ও নজরুল জয়ন্তী উদযাপনে গুচ্ছ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আগামী সোমবার ওই অনুষ্ঠানমালা শুরু হবে। চলবে ২২ মে পর্যন্ত। প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে রয়েছে শোভাযাত্রা এবং সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠান। সোমবার বিকেল ৫টায় ক্ষুদিরামের মূর্তির পাদদেশ থেকে শোভাযাত্রা বের হবে। পরে সন্ধ্যা ৬টায় গোলদীঘি মলে আয়োজন করা হচ্ছে সবুজের সমাবেশ।
মঙ্গলবার, ৭ মে সকাল ১০টায় জেলা গ্রন্থাগার মঞ্চে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কবিপ্রণাম অনুষ্ঠান। সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে রয়েছে বিভিন্ন সংস্থার বিষয়ভিত্তিক সমবেত সঙ্গীত। ৮ মে সকাল ১০টা থেকে বিদ্যালয় ও সংগঠনের নাট্যানুষ্ঠান। সে দিন সন্ধ্যায় সমবেত সঙ্গীত, একক সঙ্গীতের অনুষ্ঠান ছাড়াও থাকবে ভানুসিংহের পদাবলী অবলম্বনে অনুষ্ঠান বধূয়া হিয়া পর আও রে। সঙ্গে নাটকের কোলাজ, নৃত্যানুষ্ঠান। রবীন্দ্র জয়ন্তীতে অর্থাত ৯ মে, ২৫ বৈশাখ তারিখে সকাল ৬টায় রূপম থেকে শোভাযাত্রা বের হবে। পরে রবীন্দ্রমূর্তিতে মাল্যদান করা হবে। সকাল ১০টায় জেলা গ্রন্থাগার ভবনে বিভিন্ন সংগঠন সঙ্গীত-নৃত্য-আবৃত্তি পরিবেশন করবে। সেদিন সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠান সাড়ে ৫টায় শুরু হবে। ঋতুরঙ্গ ও গ্র্যান্ড কয়্যারের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সেদিনের আকর্ষণ বাংলাদেশের রাণাকুমার সিংহ ও করিমগঞ্জের সুদীপা ঘোষ চৌধুরীর সঙ্গীতানুষ্ঠান। নৃত্যনাট্য তাসের দেশ-ও সেদিন পরিবেশিত হবে।
১০ ও ১১ মে ভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান হবে। লায়নেস আই হাসপাতাল ও আবেগ সংস্থার সঙ্গে চিকিতসা শিবির ও বৃক্ষরোপণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১২ মে একুশ শতকের আলোকে ১৯ মে-র প্রাসঙ্গিকতা বিষয়ে আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনা সভাটি হবে মধ্যশহর সাংস্কৃতিক সমিতির সভাগৃহে। ১৩ মে শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাটক। ১৪ ও ১৫ মে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাটক নিয়ে তারা দিনেরবেলায় যাবেন শহরের প্রান্তিক এলাকার স্কুল-কলেজে। ফিরে এসে সন্ধ্যায় মধ্যশহর সাংস্কৃতিক সমিতির সভাগৃহে হবে কবিতার বৈঠক।
একই জায়গায় ১৬ মে-তে রয়েছে শিশুদের অনুষ্ঠান। ১৭ মে ভাষাশহিদ দিবস পালনের আহ্বান জানিয়ে রাঙ্গিরখাড়ি থেকে মহাপথচলা। সে দিনই হবে ক্রোড়পত্র উন্মোচন। ১৮ মে আলপনায় সাজিয়ে তোলা হবে গান্ধীবাগের সামনের রাস্তা। সঙ্গে বাংলাদেশ ও স্থানীয় শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে প্রবীণ শিল্পীদের সম্মান জানানো হবে। ১৯ মে সকাল থেকে শোভাযাত্রা, লোকগানের আসর। ১৯-র সম্মাননা প্রদান, সিডি উন্মোচন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২০ মে-তে জেলা গ্রন্থাগারে সঙ্গীতানুষ্ঠান বাংলা গানের তিন ভুবন। ২১ ও ২২ মে লিংক রোড ও ইটখলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে বলে জানিয়েছেন সুব্রত ভট্টাচার্য, অজয় রায়, চিত্রভানু ভৌমিক, ঋষিকেশ চক্রবর্তীরা।