Barak UpdatesFeature Story
শিশুদের হাতে বেলুন ধরিয়েই আনন্দ পায় রাহুল-স্বপন-সাগররা
৬ নভেম্বরঃ তাদের প্রত্যেকের টানাটানির সংসার। কারও বাবা রিকশা চালান, কেউ আবার রংমিস্ত্রির ছেলে। সংসার টানতে মা পরিচারিকার কাজ করেন। আর এরা? বেলুন নিয়ে সারাক্ষণ মেতে থাকে। রাহুল পাল, স্বপন কীর্তনিয়া, সাগর মণ্ডল সকলের বয়স ১৩ থেকে ১৫ বছর। এই বয়সে এমনটাই তো হওয়ার কথা! তাদের অবশ্য বেলুন নিয়ে লোফালুফির সুযোগ নেই। শিলচরে গোলদীঘি মলের সামনে শিশু-কিশোররা বেলুনের জন্য বায়না ধরলেই ছুটে যায় তারা। একবার শিশুর হাতে ধরিয়ে দিতে পারলেই হল! সেই বেলুন বিক্রি না হয়ে যায় কোথায়!
রাহুল-সাগররা সকাল থেকেই তৈরি হয়। দুপুর গড়াতেই বেলুন নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। একসঙ্গে ২০টি। একটাই লক্ষ্য, সবকটি বিক্রি করে ঘরে ফেরা। সাধারণ দিনগুলিতে রাত ৯টার মধ্যে লক্ষ্যপূরণ করে বাড়ি চলে যায় তারা। পুজোর দিনগুলিতে আলাদা ব্যাপার। দফায় দফায় বাড়ি ছুটতে হয়। বেলুন ফোলানোর পাম্পটা যে বাড়িতেই থাকে!
অন্য কিশোরদের কাছে পুজো মানেই নতুন জামা-জুতো। ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া স্বপন কীর্তনিয়ার কাছে দুর্গাপূজা হল বাড়তি রোজগার। ২০টির জায়গায় আরও বেশি বেলুন বিক্রি করে দেওয়া। দিন নেই, রাত নেই, সারাক্ষণ কেনাবেচা। বেলুন বিক্রির সামান্য উপার্জনেও মা-বাবাকে সাহায্য করা যায়, এ তাদের কাছে বড় তৃপ্তির।
সাগর কথা বলতে পারে না। রাহুলরাই তাকে দরদামে সাহায্য করে। বেলুন বিক্রির টাকা পকেটে ঢুকিয়ে সাগর যখন জোরে হেসে ওঠে, রাহুল-স্বপন তা দেখেই আনন্দ পায়। বেলুন হাতে শিশুদের হাসিমাখা মুখ দেখেও আনন্দ হয় তাদের।