Barak UpdatesHappenings
শিলান্যাস আর ঘোষণা, বাস্তবায়ন কোথায়, জানতে চান সুস্মিতা
২ জুলাইঃ ২৫ জুন পর্যন্ত শিলচরে হোম কোয়রান্টাইনে ছিলেন সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেস সভাপতি তথা শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব। লকডাউন পর্বের অনুপস্থিতির কথা ভুলিয়ে তিনি এখন কাছাড়ের মানুষের মনে ছাপ ফেলতে তৎপর। নিত্য আন্দোলন কর্মসূচি নিচ্ছেন। কখনও চরম প্রতিবাদী ভূমিকায় ময়দান দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, কখনও সংবাদমাধ্যমে বিজেপিকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করছেন।
বৃহস্পতিবার তিনি বিজেপির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিকতা, দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রথমে চেপে ধরেন মাল্টি মডেল লজিস্টিকস পার্ক (এমএমএলপি) প্রসঙ্গে। বিরোধিতার জন্য যা খুশি বলে দেওয়া নয়। একেবারে পড়াশোনা সেরে, ঘাঁটাঘাটি করে সুস্মিতা বললেন, অনেকের অভিযোগ, এমএমএলপি বরাক থেকে সরিয়ে নিয়েছে সর্বানন্দ সোনোয়াল মন্ত্রিসভা। বিষয়টি তা নয়। দুই জেলাতেই জমি খোঁজা হয়েছে। তারা জমির বন্দোবস্ত করে দিয়েছে, তাই সেখানে আগে কাজ শুরু হচ্ছে। এরপরই তাঁর প্রশ্ন, কাছাড়ে পাঁচ মাসেও জমি মিলল না কেন? তবে কি জনপ্রতিনিধিরা এর গুরুত্বটাই বুঝতে পারেননি? নাকি মিনি সচিবালয়ের মত এও বিজেপির ভেতরের কাজিয়ার ফল?
সুস্মিতা দেবের কথায়, বিজেপি আমলে প্রকল্প হাতে নিলেও কোনও লাভ নেই। একটি কাজও তাঁরা করে উঠতে পারেননি। একের পর এক উদাহরণ টেনে প্রাক্তন সাংসদ জানতে চান, মিনি সচিবালয়ের শিলান্যাসের পর এখন অবধি কতটা কাজ হয়েছে? আদৌ কিছু হয়েছে কি? নমামি বরাকের কী ফল মিলেছে? বর্ডার হাটের কথা বলা হয়েছিল, কোথায় গেল তা? মহাসড়কের ৩৩ কিমি জায়গায় ৩৩ ইঞ্চি কাজও কি হয়েছে? স্মার্ট সিটি তো পেলই না। বলা হয়েছিল, আম্রুত প্রকল্পে কত কী হবে। কোথায় কী এখন! গান্ধীবাগের কী খবর? জেলা গ্রন্থাগারে মুখ্যমন্ত্রী যে একসঙ্গে কত ফলকের উন্মোচন করেছিলেন, সেগুলির কী হল? কাজ হচ্ছে?
তাঁর অভিযোগ, বিজেপি নেতারা ঘোষণা করেন বটে, কিন্তু প্রজেক্টগুলি গুরুত্ব সহ নেন না। সে জন্যই এই অবস্থা। কোথাও কোনও উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নেই। তিনি বরাকের বিজেপি নেতাদের উপত্যকার স্বার্থে প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নে জোর দিতে আহ্বান জানান।